স্পোর্টস ডেস্ক: মার্সেলোকে বিদায় দিতে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে চোখের জলে দেড় দশকের প্রিয় ক্লাবকে বিদায় জানালেন মার্সেলো। বিদায় বেলা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ক্লাবের প্রতি, সতীর্থ খেলোয়াড়দের প্রতিও।
মার্সেলো যে রিয়াল ছাড়ছেন তা গত মৌসুমেই নিশ্চিত হয়ে যায়। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের দিনই তিনি বিদায়ের ইঙ্গিত দিয়ে ছিলেন। কারণ ক্লাব কর্মকর্তারা চুক্তি নবায়নের যে আগ্রহ দেখাননি। এনিয়ে কিছুটা ক্ষুব্ধও ছিলেন তিনি। রিয়ালের হয়ে ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ৫৬৪ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। জিতেছেন ২৫টি শিরোপা। সব শিরোপা ছোঁয়ার স্বাদ নিয়েছেন মাদ্রিদের জার্সিতে।
তবে বিদায় বেলা ক্লাবের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ নয়, সব কিছু ভুলে বিদায় বেলা ক্লাবেরই প্রশংসা করেছেন। জানিয়েছেন বিশ্বের সেরা ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। মার্সেলো দীর্ঘ ১৬ বছরের ইতি টেনেছেন রিয়ালে। বিদায় বেলা নিজের বক্তব্যে স্ত্রী ক্ল্যারিসের প্রতিও নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিদায়ী বক্তব্যে সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মার্সেলো। ধন্যবাদ জানান নিজের স্ত্রীকেও। তিনি বলেন, ‘আমি আমার ক্ল্যারিসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, সে ছাড়া আমি এপর্যন্ত আসতে পারতাম না। আমি আমার সন্তানদের কথাও বলবো, যারা তাদের বাবাকে বিশ্বের সেরা ক্লাবের হয়ে খেলতে দেখেছে।’
রিয়ালের সাবেক অধিনায়ক রাউলের সময়েই মার্সেলো ক্লাবটিতে আসেন। শুরুর সময়টা দারুণ সমর্থন পেয়েছেন সাবেক অধিনায়কের কাছ থেকে। জানিয়েছেন, তিনিই ছিলেন তার রোল মডেল। বিদায়ী বক্তব্যে মার্সেলো বলেন, ‘আমার অধিনায়ক ও আমার উদাহরণ হওয়ার জন্য রাউলকে ধন্যবাদ। আমি আগে কখনো বলিনি, কিন্তুু তুমি আমার রোল মডেল।’
রিয়াল প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বিদায় বেলা মার্সেলোকে নিয়ে বলেন, ‘আজ আমাদের মহান অধিনায়ককে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের অন্যতম কিংবদন্তী। রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি শিরোপাধারী খেলোয়াড়। ফুটবল এবং রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের অন্যতম সেরা লেফট ব্যাক। প্রিয় মার্সেলো ১৮ বছর বয়সে যখন এখানে আসো, এরপর তোমার যুত স্বপ্ন ছিল সব পূরণ করেছ। ২৫টি শিরোপা, ৫৬৪ ম্যাচ ও ৩৮ গোল। রিয়াল মাদ্রিদ সর্বদা তোমার বাড়ি।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০