র্টস ডেস্ক:: নিউজিল্যান্ডে প্রথম ওয়ানডে জের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। মাত্র ৯৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয় দারুণ শুরু করে ছিলেন।
তবে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য সরকার। দলীয় ১৫ রানের মাথায় চোখের সমস্যা নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ১৬ বলে ৪ রান করে দেখে শুনে ব্যাট করতে থাকা সৌম্যের চোখে কিছুটা পড়েছিলো। মাঠে পানি ছিটিয়ে সমস্যার সমাধান করতে চেয়ে ছিলেন, পারেননি। এরপর ফিজিও এসে ড্রপ দিলেও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত সৌম্য স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন।
তার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন শান্ত। বিজয়কে নিয়ে তিনি জয়ের পথে এগুচ্ছেন। এপ্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৮ ওভারে বিনা উইকেটে ৪১ রান। ২০ রানে বিজয় ও ১৩ রানে শান্ত অপরাজিত আছেন।
বাংলাদেশের চার পেসার সৌম্য সরকার, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ও মুস্তাফিজের আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। সাকিব, শরিফুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের দিনে সৌম্যও দেখান তার ম্যাজিক। তিন পেসার তিনটি করে উইকেট নিয়ে কিউদের ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বসিয়ে দেন। মুস্তাফিজের দখলে থাকে একটি উইকেট।
আগে ব্যাট করতে নামা রাচিন রবীন্দ্রকে ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৬ রানে সাজ ঘরে পাঠান সাকিব। ৮ বলে ১২ রান করেন তিনি। এরপর সাকিব ইনিংসের অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে হেনরি নিকোলাসকে প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠান দলীয় ২২ রানের মধ্যে। ১২ বলে ১ রান করেন তিনে নামা এই ব্যাটার।
তরুণ পেসারের দুই উইকেট শিকারের পরপরই শরিফুলও উইকেটের খাতা খুলেন। স্বাগতিক অধিনায়ক টম লাথামের স্ট্যাম্প উপরে ফেলেন ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৫৮ রানের মাথায়। ৩৪ বলে ২১ রান করতে পারেন লাথাম।
শরিফুলও যেনো অনুসরণ করেন সাকিব। নিজের টানা দ্বিতীয় উইকেটও তুলে নেন তিনি। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে ওপেনার উইল ইয়াংকে প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠান এই পেসার। তিন চারে ৪৩ রানে ২৬ রান করে কিউ ওপেনার।
বাংলাদেশের দুই পেসারের আগুনে বোলিংয়ে স্বাগতিকরা কোনো জুটিই গড়তে পারেনি। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। ২১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মার্ক চ্যাম্পম্যানকে বিদায় করে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটান শরিফুল। দলীয় ৬৩ রানে ব্যক্তিগত মাত্র ২ রানে বিদায় নেন এই ব্যাটার।
এরপর আবারো উইকেট তুলে নেন সাকিব। সাত রান যোগ করতেই কিউরা হারায় ষষ্ট উইকেট। ইনিংসের ২৩তম ওভারের প্রথম বলে টম ব্লান্ডেল ফিরেন দলীয় ৭০ রানে। মিরাজের হাতবন্দী হওয়ার আগে ১৭ বলে ৪ রান করে উইকেটে টিকে থাকার চেষ্টা করেন তিনি।
ব্লান্ডেলের বিদায়ের পর ৫ রান যোগ করতেই স্বাগতিকরা হারায় সপ্তম উইকেট। এবার উইকেটের খাতায় নাম তুলেন সৌম্য সরকার। জশ ক্লার্কসনকে প্যাভেলিয়নের পথ দেখান তিনি। ২৭তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৮৫ রানে বিদায় নেওয়ার আগে ২৩ বলে ১৬ রান করেন তিনি।
জশ ক্লার্কসনের স্ট্যাম্প উপরে ফেলা সৌম্য সরকার দেখাতে শুরু করেন ম্যাজিক। নিজের পরের ওভারের অর্থাৎ ২৯তম ওভারের শেষ বলে অ্যাডাম মিলানেরও স্ট্যাম্প উপরে ফেলেন তিনি। ২০ বলে ৪ রান করা মিলানের বিদায়ে দলীয় ৮৬ রানে অষ্টম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
সৌম্য যেনো থেমে যাওয়ার পাত্র নন। নিজের পরের ওভারে চতুর্থ বলে আদি অশোকেরও স্ট্যাম্প ভেঙে দেন তিনি। তাতেই ইনিংসের ৩১তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৯৭ রানের মাথায় নবম উইকেট হারায় ব্ল্যাকক্যাপসরা। পরের ওভারের চতুর্থ বলে উইলিয়াম ও’রর্কের স্ট্যাম্প ভেঙে স্বাগতিকের ইনিংসের সমাপ্তি টানেন মুস্তাফিজ। ৩১.৪ ওভারে মাত্র ৯৮ রানেই থেমে যায় কিউরা।
বাংলাদেশের হয়ে সাকিব, সৌম্য, শরিফুল ৩টি ও মুস্তাফিজ ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post