স্পোর্টস ডেস্কঃ আরিফুল ইসলামের বীরত্বে ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল বাংলাদেশ। শুক্রবার ভারতের দেয়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারায় জুনিয়র টাইগাররা। তবে দলকে বিপদে পড়তে দেননি আরিফুল। চতুর্থ উইকেটে আহরার আমিনকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন তিনি। আর এই জুটির ওপর ভর করে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশের যুবারা।
আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ১৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত।জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ভালো হয়নি। দলীয় ২ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। এরপর দলীয় ২১ রানে দ্বিতীয় উইকেটও হারিয়ে বসে টাইগাররা। আগের তিন ম্যাচের জয়ের নায়ক আশিকুর রহমান শিবলিও ফেরেন ৩৪ রানে। জিসান আলম ও চৌধুরী রিজওয়ান দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও শক্ত হাতে বিপর্যয় প্রতিরোধ করেন আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ১৬৮ রানের দুর্দান্ত জুটি। আর এ জুটিই শেষ পর্যন্ত জয়ের ভিত গড়ে দেয় বাংলাদেশের। জয়ের খুব কাছে গিয়ে থামে আরিফুলের ইনিংস, মাত্র ৬ রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা পান নি তিনি। বিদায় নেওয়ার আগে ৯০ বলের মোকাবেলায় ৯৪ রান করেন আরিফুল, হাঁকান ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা।
আরিফুলের বিদায়ের পরপর আরও দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ, তাতে বিলম্বিত হয় জয়। ১০১ বলে ৪৪ রানের দারুণ ইনিংসে বিপর্যয় প্রতিরোধ করা আহরার ৬ রানের জন্য অর্ধশতকের দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত ৪২ দশমিক ৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত। পাকিস্তানকে হারিয়ে চমকের জন্ম দিয়েছে তারা। এবার বাংলাদেশের সামনে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
এর আগে আরব আমিরাতের আইসিসি একাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ২ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার আদর্শ সিং। বাঁহাতি পেসার মারুফ মৃধার বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর ৬ বলে ১ রান করা আরেক ওপেনার আর্শিন কুলকার্নিকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান মৃধা। অধিনায়ক উদয় শাহারানকে রানের খাতাই খুলতে দেননি মারুফ।
এরপর দলের হাল ধরান চেষ্টা করেন প্রিয়ানসু মলিয়া ও শচিন দাস। তবে বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেনি শচিন। ২৩ রানের জুটিটি ভেঙে দেন ডানহাতি পেসার রোহানাাত দৌল্লা বর্ষণ। প্রিয়ানসু মলিয়াকে ১৯ রানে ও অ্যারাভেলি আভিনিশকেও ০ রানে ফেরান তিনি। এরপর মুশের ও মুরুগান অভিশেকের ৮৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
মুশের ফিফটি হাকিঁয়ে ৬১ বলে ৫০ রান করেন। মুরুগানও হাকাঁন ফিফটি। ৭৪ বলে ৬২ রান করেন তিনি। ৬ চার ও ২ ছক্কায় সাজান ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন মারুফ মৃধা। ২টি উইকেট তুলে নেন রোহানাত দৌল্লা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post