নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ছড়ি ঘুরাচ্ছে বাংলাদেশ দল। চা-বিরতির আগে টাইগারদের সবশেষ সংগ্রহ ৬৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রান। দলের রান তিনশ হওয়ার পাশাপাশি ম্যাচে বাংলাদেশের লিড তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে। ১০২ রানের লিড স্বাগতিকদের। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ১২৪ রানে অপরাজিত আছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। একইসাথে ১৮ রান করে অপরাজিত মেহেদী হাসান মিরাজ।
দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ ২৭ ওভার খেলে ১৪৬ রান সংগ্রহ করেছে। বিপরীতে হারিয়েছে দুই সেট ব্যাটার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের উইকেট। যা খানিকটা দুঃশ্চিন্তায় ফেলে বাংলাদেশকে। তবে সেখান থেকে মুশফিক ও মিরাজের জুটি স্বস্তি জোগাচ্ছে টাইগারদের।
এই সেশনের শুরুতে বাংলাদেশ দল হারায় অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের উইকেট। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে এসে ভালো ব্যাট করলেও, মাত্র ১৩ রানের জন্য তিন অঙ্কের রানের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি এই বাঁহাতি। ৪৪তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৯৯ রানের মাথায় তিনি আউট হন ম্যাকব্রিনের বলে। তবে এর আগে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ৯৪ বলে ১৪ বাউন্ডারিতে ৮৭ রান করেন তিনি।
চতুর্থ উইকেট মুশফিকুর রহিমের সাথে ১৫৯ রানের অনবদ্য জুটি গড়েছিলেন সাকিব। সেই জুটিতেই বিপদ থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। সাকিবের আউটের পর উইকেটে আসেন লিটন দাস। মুশফিকুর রহিম তাকে নিয়ে বেশ ভালোই এগোচ্ছিলেন। দুজনের ব্যাটে আয়ারল্যান্ডের করা ২১৪ রান টপকে লিড নেয় বাংলাদেশ।
সাকিব না পারলেও, সেঞ্চুরি পূরণ করেন মুশফিকুর রহিম। টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দশম সেঞ্চুরির দেখা পান এই তারকা ব্যাটার। প্রায় এক বছর পর এই ফরম্যাটে সেঞ্চুরি হাঁকান। সবশেষ ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই মিরপুরে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। মাঝে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন গেল বছরের শেষ দিকে। তবে সেসময় খুব একটা রান পাননি।
তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এসে বড় রানের দেখা পেলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন নিজের খেলা ১৩৫ বলে। এর আগে ফিফটিও পূরণ করেছিলেন বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। মুশফিকের সেঞ্চুরির সাথে লিটন দাসের আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল।
তবে হুট করে ৮৭ রানের জুটি ভেঙে প্যাভিলিয়নে ফিরেন লিটন দাস। ম্যাচের ৫৮তম ওভারের তৃতীয় বলে রান আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান লিটন। একেবারে সহজ রান আউট করতে পারেনি আইরিশরা। কিন্তু এমন জীবন পেয়েও লরকান টাকারের একই ওভারে এক বল পরেই লং অফে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে বেন ওয়াইটের সহজ ক্যাচে পরিণত হন।
আউট হওয়ার আগে ৪১ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৪৩ রান করেন। মাত্র ৭ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন তাড়াহুরোর কারণে। লিটনের বিদায়ে খানিকটা বিপাকেই বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে এখন মিরাজকে সাথে নিয়ে দলকে টানছেন মুশফিক। ৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলের রান পার করেছেন তিনশ। একইসাথে বাংলাদেশকেও এনে দিয়েছেন শত রানের লিড।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা