নিজস্ব প্রতিবেদক:: যদিও তাদেরকে তরুণ বলা হচ্ছে, বিসিবি বলছে সিনিয়র ‘বিহীন’ তরুণ দল পাঠানো হয়েছে জিম্বাবুয়ে, তবে পরিসংখ্যান অন্তত বলছে তারা তরুণ নন। প্রায় প্রত্যেকেই বিশের কাছাকাছি ম্যাচ খেলে ফেলেন। কারো কারো ম্যাচ সংখ্যা পঞ্চাশও ছাড়িয়ে গেছে।
অনেকেই ৬-৭ বছর ধরে খেলছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। নতুন এই টি-২০ দলের লিটন দাস ৫২টি টি-২০ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। মুস্তাফিজ ৬৮টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন।অধিনায়ক সোহান ৩৫টি আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন। মোসাদ্দেক খেলেছেন ১৯টি, বিজয় ১৭টি, আফিফ ৪৬টি টি-২০ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন।
তবুও তারা হয়তো অনেকের দৃষ্টিতেই তরুণ। কারণ সিনিয়র সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লা আর তামিম ইকবালদের ছাড়া প্রথমবার খেলতে নেমেছেন তারা। সেজন্যই হয়তো এই দলকে তরুণ দল বলা হচ্ছে। তবে যাই হোক, সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে এই তরুণেরা দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হেরে বসেন বাজে বোলিং, বাজে ফিল্ডিংয়ের সঙ্গে ধীর গতির ব্যাটিংয়ে।
যেই জিম্বাবুয়ে এখন টাইগারদের সাথে পেরে উঠে না, একটি জয়ের আশায় থাকে, সেই দলটির কাছেই হেরে যায় বাংলাদেশ। প্রত্যাশিত জয় মেলেনি। তাই সমালোচনা হচ্ছিলো প্রচুর। প্রথম দিন হারের পর দ্বিতীয় দিনই দাপুটে জয়ে তরুণেরা বুঝিয়ে দিয়েছে পার্থক্য। সাত উইকেট ও ২ ওভার ৩ বল হাতে রেখেই সিরিজ সমতায় ফেরেছে বাংলাদেশ।
তবে আলোচনার আছে অনেক কিছুই। প্রথম ম্যাচে বোলিং ব্যর্থতা ছিলো সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় ম্যাচেও খুব একটা ভালো হয়নি। একজন মোসাদ্দেক হোসেন ভালো করেছেন, কিন্তুু মূল বোলাররা প্রত্যাশা মেটাতে পারছেন না। পার্টটাইম স্পিনার মোসাদ্দেক ৫ উইকেট নিয়েছেন। তবুও অলআউট করা যায়নি প্রতিপক্ষকে। ৮ উইকেটে তারা থেমেছে ১৩৫ রানে। ম্যাচ সেরা হওয়া এই স্পিনার ছাড়া মুস্তাফিজ ও হাসান মাহমুদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
অথচ দায়িত্ব নেওয়ার কথা মূল বোলারদের। আগের দিন দুই উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজ খরচ করেছেন প্রচুর রান। আজ তিনি নিতে পেরেছেন মাত্র একটি উইকেট। আগের দিনও উইকেট শুন্য থাকা শরিফুল আজো নিতে পারেননি কোনো উইকেট। একাদশে স্পিনের মূল দায়িত্বে থাকা স্পিনার মেহদী হাসান পাননি কোনো উইকেটের দেখা। তবুও দিন শেষে তরুণের বাংলাদেশ, টি-২০ ফরম্যাটে নতুন বাংলাদেশ জয় পেয়েছে, সেটাই স্বস্তি টাইগার ক্রিকেটে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০