জয় যেনো ‘অধরা’ মাশরাফির

0
21

স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএলে এখনো জয়ের দেখা পেলেন না ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক মাশরাফি। একের পর এক ম্যাচে হেরে চলছে মাশরাফির নেতৃত্বে খেলা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

রোববার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের কাছে হেরে গেছে মাশরাফির কুমিল্লা।  নির্ধারিত ওভার শেষে খুলনা টাইটান্সের করা ১৪৪ রানের জবাবে তারা ৯ উইকেটে ১৩১ করতে সমর্থ হয়।

১৪৫ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। কেভন কুপারের বলে প্রথম ওভারেই শুভাগত হোমের হাতে ধরা পড়েন লিটন দাস (৮)। এর পরেই ইমরুল কায়েস ২১ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান সাজঘরে।  পঞ্চম ওভারে জুনাইদ খানকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে বোল্ড আউট হন তিনি।

দলীয় স্কোর অর্ধশতক পার করতেই তৃতীয় উইকেটে পতন হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। তরুণ অলরাউন্ডার নাজমুল হোসেন শান্তর (১০) স্ট্যাম্প ভাঙেন শফিউল ইসলাম। ১৩তম ওভারে আসার জাইদিকে (১০) ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটান স্পিনার মোশাররফ হোসেন রুবেল। ৩০ রান করা মারলন স্যামুয়েলসকে বোল্ড করে খুলনা শিবিরে স্বস্তি এনে দেন শফিউল।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খূলনার ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান ফ্লেচারকে (২৩) ইমরুল কায়েসের ক্যাচে পরিণত করে ব্রেকথ্রু এনে মাশরাফি। মাশরাফির বলে নাবিল সামাদের তালুবন্দি হন ১৬ রান করা শুভাগত হোম। এক ওভার ‍ঘুরতেই আবারো মাশরাফির আঘাত। এবার বিপদজনক হয়ে ওঠা হাসানুজ্জামানকে (৩৭) ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন। লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন খুলনা ওপেনার।

মাশরাফির পর খুলনা শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন নাজমুল হাসান শান্ত। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের (১১) পর অলক কাপালিকে (৩) সাজঘরে পাঠান ১৮ বছরের এ উঠতি অলরাউন্ডার। দলীয় ১১৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় তারা।

শেষ ২৭ রানে খুলনার আরো চার উইকেটের পতন ঘটে। তিনটিই পাকিস্তান পেসার সোহেল তানভীরের দখলে যায়। নিকোলাস পুরান ১২ ও কেভন কুপার ১১ রান করে আউট হন। বাকি উইকেটটি নেন তরুণ আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/বা/০০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here