স্পোর্টস ডেস্ক:: আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচের ভেন্যু নিয়ে তুলকালাম ভারতীয় ক্রিকেটে। এমন অনুপযুক্ত মাঠে ম্যাচ আয়োজন করায় দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, স্রেফ কিছু টাকা আয়ের জন্যই গ্রেটার নয়ডা ও আফগানিস্তান বোর্ডের কিছু কর্মকর্তা এখানে ম্যাচ আয়োজন করেছেন।
তৃতীয় দিনেও টস করতে না পারায় মাঠটির ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই মাঠে আর কখনো ম্যাচ আয়োজন করার পক্ষে নয় বিসিসিআই। আফগান-নিউজিল্যান্ট টেস্টের ম্যাচ রেফারি জাভাগল শ্রীনাথের হাতে মাঠটির ভাগ্য।
ম্যাচ রেফারি কি রিপোর্ট দেন সেটির অপেক্ষায় আইসিসি ও বিসিসিআই। মাঠে যা অবস্থা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে না আম্পায়ারদের। আগেভাগেই তারা খেলা পরিত্যাক্ত করে দিচ্ছেন। ফলে মাঠটি নিয়ে জাভাগল শ্রীনাথ যে রিপোর্ট নৈতিবাচক দেবেন সেটা অনেকটা নিশ্চিত। সেরকমটা হলে এই মাঠ বাতিল হয়ে যেতে পারে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানই মাঠটি বেছে নিয়ে। এসিবিকে আরাে দু’টি মাঠেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। তবে নয়াদিল্লী থেকে সবচেয়ে কাছে হওয়ায় আফগানিস্তান গ্রেটার নয়ডাকেই বেছে নিয়েছিলো।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআই’র এক জন কর্তা দেশটির গণমাধ্যমকে বলেন, “স্টেডিয়ামটি গ্রেটার নয়ডা কর্তৃপক্ষের। টাকা রোজগার করতেই তাদের কয়েক জন কর্তা এবং আফগান বোর্ডের কয়েক জন কর্তা ওখানে বর্ষার মৌসুমে ম্যাচ আয়োজন করেছেন। উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা (ইউপিসিএ) অনেক বার ফোন করে বৈঠকের জন্য ডেকেছিল। যা দরকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ইউপিসিএ প্রস্তাব দিয়েছিল, কানপুরের গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামে ম্যাচ করতে।”
নয়ডা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কেন ম্যাচ তা জানিয়ে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, “বিসিসিআই আমাদের তিনটে মাঠের প্রস্তাব দিয়েছিল, কানপুর, বেঙ্গালুরু এবং গ্রেটার নয়ডা। আমরা শেষেরটি বেছে নিই যাতায়াতের সুবিধার জন্য। দিল্লি বিমানবন্দর থেকে মাত্র দু’ঘণ্টায় এখানে পৌঁছনো যায়। এই মাঠ বরাবরই আফগানিস্তানের ঘরের মাঠ ছিল। ২০১৬ সাল থেকে এখানে খেলছি।”
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০