নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এবারের বিপিএলে তিন ম্যাচ খেলেও জয়ের মুখ দেখল না সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঢাকা ও সিলেট পর্ব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলা আরিফুল হকের দল মঙ্গলবার হেরেছে বড় ব্যবধানে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক সিলেটকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল ফরচুন বরিশাল।
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ফেরেন বরিশালের তামিম ইকবাল। কর্নওয়ালের বলে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে টিকতে দেন নি সিলেটের পেসার তানজিম হাসান সাকিব। দলীয় ৬ রানে ফেরেন শান্ত। দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বরিশালের হাল ধরেন কাইল মেয়ার্স ও তাওহীদ হৃদইয়। দুজনে গড়েন ১১৬ রানের জুটি। মেয়ার্স ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। হৃদয় খেলেন ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস।৮ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করে ফেরেন হৃদয়। মেয়ার্স অপরাজিত থাকেন ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৩১ বলে ৫৯ রানে। সিলেটের হয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই হোঁচট খায় সিলেট। ওভারের তৃতীয় বলেই কাইল মেয়ার্সকে বড় শট খেলতে গিয়ে তামিমের হাতে ধরা পড়েন রনি তালুকদার। কোন রান না করেই ফিরতে হয় তাকে। এরপর টিকতে পারেন নি রাকিম কর্নওয়ালও। একাদশে সুযোগ পাওয়া এই ক্যারিবিয়ান ফেরেন ১২ বলে ১৮ রান করেই।ইনিংস বড় করতে পারেন নি জর্জ মানজিও। জাকির হাসান থিতু হয়েছিলেন ঠিকই, তবে ২৬ বল খেলে ২৫ রানের বেশি করতে পারেন নি তিনি। জাকের আলি ৪ বল খেলে মাত্র এক রান করেই সাজঘরে ফেরেন। তানজিম হাসান সাকিব ফেরার আগে করেন ৫ বলে ১ রান। ৮৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দল যখ খাদের কিনারায়, ঠিক তখনই ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন আরিফুল হক। ২৯ বলে ৩৬ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতেই ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট। বরিশালের হয়ে রিশাদ হোসেন ও জাহানদাদ খান নেন ৩টি করে উইকেট। এ ছাড়া ফাহিম আশরাফ ২টি, শাহিন আফ্রিদি ও কাইল মেয়ার্স নেন একটি করে উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০০০