স্পোর্টস ডেস্কঃ নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠল গতবারের রানার্সআপ ইংল্যান্ড। ডর্টমুন্ডে বুধবার রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড। শাভি সিমন্সের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন হ্যারি কেইন। আর শেষ দিকে ইংলিশদের উচ্ছ্বাসে ভাসান ওলি ওয়াটকিন্স।
ম্যাচের শুরু থেকে বল নিজেদের দখলে রেখেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন। শুরুতেই আক্রমণে যায় তারা। এতে চার মিনিটেই প্রথম আক্রমণ করে তবে গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ডের সৌজন্যে সে যাত্রায় বেঁচে যায় ইংল্যান্ড। কিন্তু বেশি ক্ষণ ডাচদের ঠেকাতে পারেনি তারা। সাত মিনিটেই এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।
মাঝমাঠে ডেক্লান রাইসের থেকে বল কেড়ে নিয়েছিলেন সিমন্স। একাই এগিয়ে যান সামনের দিকে। বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়ে শট নেন। সেই শটের জোর যা ছিল তা আটকাতে পারেননি পিকফোর্ড। গোল খাওয়ার পরে কিছু ক্ষণের জন্য বেসামাল হয়ে পড়ে ইংল্যান্ডের রক্ষণ। নেদারল্যান্ডসকে অনেকটা জায়গা দিয়ে দিচ্ছিল তারা। ডাচরা অবশ্য সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি।
তবে ১২ মিনিটেক মাথায় ফোডেনের ফ্রিকিক থেকে ইংল্যান্ডের প্রয়াস প্রতিহত হয়। ১৪ মিনিটে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। বুকায়ো সাকার শট আটকে দিয়েছিল নেদারল্যান্ডস রক্ষণ। ফিরতি বল হ্যারি কেনের সামনে এসে পড়ে। চলতি বলে হ্যারি শট নেওয়ার পর পা তুলে তাকে আটকাতে গিয়েছিলেন ডেঞ্জিল ডামফ্রিস। হ্যারি শট মারার পর তার পা বিপক্ষ অধিনায়ককে আঘাত করে। ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভার) সাহায্য নিয়ে মাঠের রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন। হ্যারির শট আটকাতে পারেননি নেদারল্যান্ডস গোলকিপার ভারব্রুগেন। এতটাই নিখুঁত ছিল সেই শট।
গোল পাওয়ায় ইংল্যান্ডের আক্রমণে ঝাঁজ বাড়ে। আরও বেশি আক্রমণ করতে শুরু করে তারা। আগের ম্যাচগুলোতে তারা একটু রক্ষণাত্মক খেললেও এ দিন বেশ আগ্রাসী লেগেছে গ্যারেথ সাউথগেট শিষ্যদের। দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই নেমেছিল গোল করার লক্ষ্যে। ৯০ মিনিটে সুযোগ মিস করেননি ওয়াটকিন্স। কোল পালমারের কাছ থেকে বল পেয়ে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে ইংল্যান্ডকে ২–১ গোলের এগিয়ে দেন তিনি। আর বদলি নামা এই অ্যাস্টন ভিলা ফরোয়ার্ডর গোলই গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। বার্লিনে আগামী রোববার হবে ফাইনাল। যেখানে লড়বে স্পেন ও ইংল্যান্ড। এর আগে প্রথম সেমিতে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল স্প্যানিশরা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post