স্পোর্টস ডেস্ক:: এক দশক পেরিয়েছে। বায়ার্ন মিউনিখের হাত থেকে কেউ শিরোপা নিতে পারেনি। টানা ১১তম বার বুন্দেস লিগার শিরোপা জিতলো বায়ার্ন। নাটকীয়তায় ভরা এক দিনে বুন্দেস লিগার শিরোপার নিষ্পত্তি হয়েছে।
বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সম্ভাবনা ছিলো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। পয়েন্ট সমানও তাদের। তবে ভাগ্যের কাছে শিরো পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন ফিকে হয়েছে। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় শিরোপা জেতা হয়নি তার। ২০১১-১২ মৌসুমের পর থেকে যে শিরোপা ছোঁয়া হয়নি, সেই আক্ষেপ বাড়রলে আরো এক বছর।
টানা দশ বছর শিরোপা জেতা বায়ার্নকে এবার থামানোর সুযোগ ছিলো বরুশিয়া। নিজেরা জিততে পারেননি তারা। বাঁচা মরার ম্যাচে টমাস তুখেলের দল কোলনকে হারিয়েছে ২-১ গোলের ব্যবধানে। তাতেই সব অপেক্ষার অবসন হলো শেষ ম্যাচে। রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে বুন্দেস লিগার শিরোপা ঘর তুলেছে বায়ার্ন মিউনিক। টমাস টুখেলের শিষ্যরা বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো। কোলনকে শেষ মুহুর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো বায়ার্ন।
পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বায়ার্ন মিউনিখ হলো চ্যাম্পিয়ন। চ্যাম্পিয়নদের সমান ৭১ পয়েন্ট থাকলেও শিরোপা ছোঁয়া হলো না বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের। বায়ার্নের দুই পয়েন্ট কম থাকায় শেষ দিনে সমীকরণ এমন ছিলো টমাসের দলকে জিততে হবে কোলনের বিপক্ষে, ডর্টমুন্ডকে মেইঞ্জের বিপক্ষে হারতে হবে বা ‘ড্র’ করতে হবে। বায়ার্নের চাওয়া মতোই হয়েছে সব কিছু, তারা নিজেরা জিতেছে, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ২-২ গোলে ‘ড্র’ করেছে। তাতেই চ্যাম্পিয়ন টমাসের শিষ্যরা।
শিরোপার লক্ষ্য মাঠে নামা বায়ার্ন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে। ম্যাচের ৮ম মিনিটেই তাই লিড নেয় দলটি। লেরয় সানের পাস থেকে পাওয়া বল কিংসলি কোমান কোলনের জালে পাঠালে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় দলটি। প্রথমার্ধে কোলন আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বায়ার্ন।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হলে দুই দল গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। তবে কেউই যে গোলের দেখা পাচ্ছিলো না। অবশেষে ম্যাচের ৮১তম মিনিটে সমতায় ফেরে কোলন। নিজেদের বক্সে ভুল করে বায়ার্ন। পেনাল্টি থেকে দেজান লুবিসিচ স্কোর লাইন ১-১ করে জন্ম দেন চরম নাটকীয়তার।
লিডে থেকেও বায়ার্ন শেষ দিকে লিড হারায়। কোলন সমতায় ফিরলে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তখনি বায়ার্নকে উদ্ধার করেন জামাল মুসিয়ালা। ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে বদলীয় নামা জার্মান এই ফুটবলার শিরোপার উৎসবে ভাসান বায়ার্নকে। ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে তার গোলেই জয় নিশ্চিত হয় টমাস তুখেলের দলের।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post