স্পোর্টস ডেস্কঃ রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির কাছে চলে গিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। অল্পের জন্য দারুণ এই মাইলফলক স্পর্শ করা হলো ডানহাতি এই ব্যাটারের। ১৯১ রান করে মোহাম্মদ আলীর বলে ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপারের কাছে। ৩৪১ বলের ইনিংসে ২২ চার ও ১ ছয় মেরেছেন মুশফিক।
এর আগে মেহেদি হাসান মিরাজের সাথে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েন মুশফিক। এই দুজনের ব্যাটে প্রথম দেড়শ রানের জুটি দেখেছে বাংলাদেশ। দুই মিডল অর্ডার ব্যাটারের জুটিতে দেড়শ এসেছে ২৬৭ বলে। টেস্টে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের আগের সেরা ছিল ১৪৫। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্ট করেছিলেন সাকিব আল হাসান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এদিকে এর আগে শুক্রবার ৫ উইকেটে ৩১৬ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। আজ চতুর্থ দিনে খেলতে নেমে নিজেদের জুটিতে শতরান পূর্ণ করেন মুশফিক ও লিটন দাস। লিটনের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। অনেকটা মুশফিকের মতোই নাসিম শাহ’র বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপরই মুশফিক-মিরাজের সেই দাঁত কামড়ানো জুটি। দিনের নবম ওভারেই পাকিস্তান সাফল্য পেলেও, এরপর লম্বা সময় এই দুজন তাদের পরীক্ষা নিয়েছেন। মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই মুশফিক ১১তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বিরতির পর পর ফিরে মুশফিক দেড়শ এবং মিরাজ করেন ফিফটি। দ্বিতীয় সেশনে দুজনের জুটি দারুণ জমে ওঠে। দুই ডানহাতি মিলে নিরাপদে সেই সেশন পার করে পাঁচশ রানের কাছাকাছি নিয়ে যান দলকে। চা বিরতির পর ফিরে তাতে ছন্দপতন ঘটে মুশফিকের বিদায়ে। এদিকে সপ্তম ফিফটির দেখা পেয়েছেন মিরাজ, ১২০ বলে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০