নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবার আসর জয় দিয়ে শেষ করলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সুপার লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাশরাফী বিন মোর্ত্তাজার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ঐতিহ্যবাহী দলটি। একেবারে শেষ ওভারে গিয়ে এক বল হাতে রেখে এসেছে সেই জয়।
আর জয়ের অন্যতম কারিগর সৌম্য সরকার। ডিপিএলে একেবারে শেষ রাউন্ডের সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন রান করতে ভুলে যাওয়া এই ক্রিকেটার। জাতীয় দলের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও একাদশে জায়গা হারাচ্ছিলেন। হুমকিতে যখন ক্যারিয়ার, তখনই আলো ছড়ালেন ব্যাট হাতে। সম্প্রতি জাতীয় দলের আলোচনায়ও ছিলেন এই বাঁহাতি। সৌম্য রান পেলেও মোহামেডানকে জেতানোর মূল নায়কের ভূমিকায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ঝড়ো পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।
রূপগঞ্জের দেওয়া ২৯৯ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকাতে গিয়ে শুরুটা দারুণ করে মোহামেডান। ১৮১ রানের অনবদ্য এক উদ্বোধনী জুটি গড়েন দলটির দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও রুবেল মিয়া। সেঞ্চুরির পথে থাকা রুবেলের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। ৯০ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৮৭ রান করে আউট হন রুবেল।
তবে ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন আরেক ওপেনার সৌম্য। দলীয় দুইশ রান পূরণের আগে আউট হন তিনি। তবে ততক্ষণে এবারের আসরে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১১২ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ১০২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে মাশরাফীর শিকার হয়ে আউট হন। lলিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে চার বছর পর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি।
সৌম্যের আউটের পর শেষ দিকে রানের তুলনায় বলের সংখ্যা কমে আসছিল। সেখান থেকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ। ১৪৫’র বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ৬১ রানের ম্যাচ সেরা ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। তার ৪২ বলের ইনিংস সাজানো ছিল ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়। ২১ রান আসে ইমরুল কায়েসের পরিবর্তে অধিনায়কত্ব পাওয়া আরিফুল হকের ব্যাট থেকে।
রূপগঞ্জের হয়ে মুক্তার আলি ২টি, মাশরাফী, চিরাগ জনি ও অনূপ পাল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে সাভারের বিকেএসপিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রানের বিশাল পুঁজি পায় রূপগঞ্জ। দলের প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটার রান পেয়েছেন। সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলেন সাব্বির রহমান। ৯০ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায়।
৭৩ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৭৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ইরফান শুক্কুর। ওপেনার ফারদিনের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। দলের বিদেশি চিরাগ জনি ৩৩ ও ওপেনার পারভেজ ইমন ২৪ রান করেন।
মোহামেডানের হয়ে আবু জায়েদ চৌধুরি রাহি একাই ৩ উইকেট শিকার করেন। রুয়েল মিয়া লাভ করেন ২টি উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা