নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর একটি হোটেলে রোববার শেষ হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। সেখানে সিলেট স্ট্রাইকার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি তুলনামূলক কম শক্তিশালী একটি স্কোয়াড গঠন করেছে।
ড্রাফটের আগেই দল গোছানোর কাজ অনেকটাই এগিয়ে রাখে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। যেখানে সবচেয়ে বেশি চমক দেখিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে গতবারের তুলনায় এবার সিলেটের স্কোয়াড খানিকটা অনভিজ্ঞ বলা যায়। গত আসরে ফাইনাল খেলা দলটির অন্যতম সদস্য ছিলেন- মোহাম্মদ আমির-ইমাদ ওয়াসিমরা। কিন্তু এবার তাঁদের মত সেই মানের ক্রিকেটারদের দলে নিতে পারে নি সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি।
গত আসরে ফাইনাল খেলা সিলেট রিটেইন করে নি সেই ফাইনালে ফিফটি হাঁকানো মুশফিকুর রহিমকে। তাঁকে ড্রাফটের আগেই ছেড়ে দেয় সিলেট। গত মৌসুমে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১৫ ম্যাচ খেলে মুশফিক রান করেছিলেন ৩৫৭। এর আগেও সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন তিনি। সিলেট রয়্যালস, সিলেট সুপারস্টার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স- এই তিন ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সি গায়ে দেশ সেরা এই উইকেটকিপার ব্যাটার সিলেটকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে এবার নতুন ঠিকানায় তিনি।
এদিকে চলমান ড্রাফট থেকে একাধিক তারকা ক্রিকেটার দলে নিয়েছে সিলেট। অফফর্মে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন-ইয়াসির আলী রাব্বিরাও আছেন সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির পছন্দের তালিকায়। ড্রাফটে প্রথম ডাকে তারা মিঠুনকে নেয়। দেশিদের মধ্যে ইতোমধ্যে সিলেট দলভুক্ত করেছে রেজাউর রহমান রাজা, ইয়াসির আলী রাব্বি ও আরিফুল হক। অন্যদিকে বিদেশীদের মধ্যে তারা দলে নিয়েছে রায়ান বার্লকে। জিম্বাবুইয়ান এই অলরাউন্ডার গত আসরেও সিলেটের জার্সিতে খেলেছিলেন। এছাড়া আছেন বেন কাটিং, জর্জ স্ক্রিমশো ও হ্যারি টেকটর।
সিলেট স্ট্রাইকার্স স্কোয়াডঃ
ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি – মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, জাকির হাসান, তানজিম হাসান, নাজমুল হোসেন, রায়ান বার্ল, বেন কাটিং, হ্যারি ট্যাক্টর।
ড্রাফট থেকে – মোহাম্মদ মিঠুন, রেজাউর রহমান রাজা, আরিফুল হক, ইয়াসির আলী রাব্বি, রিচার্ড এনগারাবা, দুশন হেমন্ত, নাজমুল ইসলাম অপু, শফিকুল ইসলাম, নাইম হাসান, জাওয়াদ রোয়েন, সালমান হোসেন ইমন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post