স্পোর্টস ডেস্ক:: বল হাতে দুর্দান্ত হয়ে উঠা পেসার তাসকিনের ছয় উইকেটে অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৩৪ রানের লক্ষ্য। বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়া স্বাগতিক ক্যারিবিয়ানরা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ১৫২ রানেই। তাতেই বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৩৪ রান।
গ্রিভসের সেঞ্চুরি, লুই, লুই আথানেজদের সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই ইনিংসে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের প্রথম ইনিংসে নয় উইকেটে ৪৫০ রান তুলেছিলো। জবাবে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ মুমিনুল ও জাকের আলী অনীকের হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে।
লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট এবার গুটিয়ে গেছে ১৫২ রানে। সাদা পোশাকে তাসকিনের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিনে পুড়ে ছারখার হয়েছে ক্যারিবিয়ান। বাংলাদেশের পেস তারকা প্রথমবারের মতো ফাইফার তুলে নিলেন টেস্ট ক্রিকেটে।
তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দিশেহারা ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা উইকেটে তীতু হতে পারেননি। খেলতে পারেননি বড় কোনো ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ৯০ রান করা আথানেজ দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছেন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। সাত চারে ৪২ রান করেছেন ৬৩ বল খেলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ রান করেছেন অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট। ২২ রান করেছেন জশুয়া ডি সিলভা। ১৭ রান এসেছে জোসেফের ব্যাট থেকে। ১৫ রান করেছেন হজ। ১২ রান করেছেন কেমার রোচ। এক অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি অন্য কোনো ব্যাটার।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ১৪.১ ওভারে এক মেডেনে ৬৪ রানে একাই নিয়েছেন ছয় উইকেট। দু’টি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। শরিফুল ও তাইজুল শিকার করেছেন একটি করে উইকেট।
এর আগে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুমিনুল ও জাকেরের ব্যাটে ৯ উইকেটে ২৬৯ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। দলের পক্ষে ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেছিলেন জাকের আলী অনিক। ৮৯ বলের ইনিংস সাজিয়ে ছিলেন চার চারে। ৫০ রান করেছিলেন মুমিনুল হক। ১১৬ বলের ইনিংসে তিন চার মেরে ছিলেন তিনি। এছাড়াও ৪০ রান করে ছিলেন লিটন দাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জোসেফ তিনটি, জাস্টিন ও সিশেলস ২টি করে উইকেট লাভ করে ছিলেন।
এর আগে গ্রিভসের সেঞ্চুরি, আথানেজ ও লুইয়ের সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই ইনিংসে বাংলাদেশের ঘাড়ে বড় রানের বোঝা চাপায় স্বাগতিকরা।৯ উইকেটে ৪৫০ রানে করেছিলো ইনিংস ডিক্লেয়ার। ।চতুর্থ ও অস্টম উইকেটে বড় জুটি গড়ে স্বাগতিকরা। আগে ব্যাট করতে নামা ক্যারিবিয়ানরা চতুর্থ উইকেটে আথানেজ ও লুইয়ের দারুণ জুটিতে তুলে নেয় ১৪০ রান। দু’জনেই সেঞ্চুরির কাছকাছি গিয়ে ফিরেছেন প্যাভেলিয়নে। মাত্র তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি লুই। খেলেছেন ২১৮ বলে ৯৭ রানের নান্দনিক এক ইনিংস। নয় চার ও এক ছক্কায় সাজান সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপের ইনিংসটি।
তিন রানের জন্য লুই সেঞ্চুরি মিসের ম্যাচে ১০ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন আথানেজ। খেলেছেন ৯০ রানের হার না মানা এক ইনিংস। ১৩০ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন দশ চার ও এক ছক্কায়। ২৫ রান করেন কেভিন হজ। তাদের বিদায়ের পর অষ্টম উইকেটে জুটি গড়েন রোচ ও গ্রিভস। দু’জনের জুটি থেকেো আসে ১৪০ রান। চার চারে ২৬৪ বলে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন গ্রিভস।
বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ তিনটি, তাসকিন ও তাইজুল ২টি করে উইকেট লাভ করেছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০