স্পোর্টস ডেস্কঃ উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনশ রানও করতে পারল না পাকিস্তান। শুক্রবার টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৭০ রান করেছে তারা। বিশ্বকাপে টানা তিন হারে খুব একটা স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান। আর এক ম্যাচে পা হড়কালেই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আশা দুরাশায় পরিণত হতে পারে। এমন সমীকরণে দাঁড়িয়ে থাকা দলটি ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থ।
দলীয় ২০ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। উইকেটে থিতু হয়ে থাকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক। ১৭ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরত যান এই ওপেনার। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মার্কো জানসেনের বলে লুঙ্গি এনগিদির হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর ইনিংসের সপ্তম ওভারে জানসেনের দ্বিতীয় শিকার হন আরেক ওপেনার ইমাম উল হক। হেনরিখ ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে তিনি করেন ১৮ বলে ১২ রান। ৩৮ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রান যোগ করেন অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। রিজওয়ান মেরে খেলছিলেন। কিন্তু ২৭ বলে ৩১ রানে থাকার সময় তার উইকেটটি তুলে নেন জেরাল্ড কোয়েতজি। ইফতিখার আহমেদও সেট হয়ে উইকেট দিয়ে আসেন। ৩১ বল খেলে তিনি করেন ২১। অধিনায়ক বাবর হাল ধরে ছিলেন। ফিফটিও পেয়ে যান তিনি। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি পূরণ হতেই উইকেট দিয়ে আসেন। প্রোটিয়াদের একাদশে ফেরা তাব্রাইজ শামসির বলে সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বাবর। ১৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে পাকিস্তান।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সৌদ শাকিল। ষষ্ঠ উইকেটে শাদাব খানকে নিয়ে ৮৪ রান যোগ করেন এই ব্যাটার। শাদাব খান ঝোড়ো গতিতে ৩৬ বলে ৪৩ করে আউট হন। এরপর শাকিলও ফিফটি করে সাজঘরে ফিরে যান। ৫২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫২ রান করে তাবরেজ শামসির ঘূর্ণি বলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ধরা পড়েন এই হাফসেঞ্চুরিয়ান। শেষদিকে মোহাম্মদ নওয়াজ ২৪ বলে ২৪ করলেও ২৭০ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাবরের দল। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শামসি ৬০ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। ৩টি উইকেট শিকার মার্কো জানসেনের।
Discussion about this post