দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো পাকিস্তান

0
68

স্পোর্টস ডেস্কঃ গ্রুপ-১’র মতো গ্রুপ-২’র সেমি ফাইনালের লাইনআপও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হলো না। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমি ফাইনালের আশা এখনও বাঁচিয়ে রাখলো পাকিস্তান। বাঁচা-মরার ম্যাচে প্রোটিয়াদেরকে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৩৩ রানে হারিয়েছে বাবর আজমের দল। দারুণ ব্যাটিংয়ের পর আফ্রিদি-শাদাবদের বোলিংয়ে পাত্তায়ই পায়নি প্রোটিয়ারা। যেখানে অলরাউন্ডার শাদাব খানের ভূমিকা বেশি। ব্যাটে-বলে অলরাউন্ড পারফম্যান্স দেখিয়েছেন তিনি।

এই জয়ে কাগজে-কলমে এখনও টিকে আছে পাকিস্তান। যদিও অন্য ম্যাচের ফলও নির্ভর করবে। এছাড়া বাংলাদেশেরও সেমি ফাইনাল সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছে দলটি। যদি শেষ ম্যাচে পাকিস্তান হারায় বাংলাদেশকে আর নেদারল্যান্ডস হারায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে, তাহলে সেমি ফাইনালে যাবে পাকিস্তান। এছাড়া যদি বাংলাদেশ হারিয়ে দেয় পাকিস্তানকে আর নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে, তাহলে সেমি ফাইনালে যাবে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৬ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারিয়ে বসে প্রোটিয়ারা। ইনিংসের প্রথম ওভারে শাহীন আফ্রিদির বলে ডাক মেরে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই বাঁহাতি ওপেনার। টপ অর্ডারে নামা আরেক তারকা রাইলি রুশোকেও প্যাভিলিয়নে ফেরান আফ্রিদি।

শুরুতে ২ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ও এইডেন মার্করাম। টানা ব্যর্থতার পর এদিন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন বাভুমা। পাওয়ার প্লে’তে ঝড়ো ব্যাট করেন। ২৭ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো জুটি ভাঙে বাভূমার বিদায়ে। শাদাব খান এক ওভারে জোড়া শিকার করে বাভুমা ও মার্করামকে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন।

১৯ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন বাভুমা। ১৪ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ রান করেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ৯ ওভার শেষে বৃষ্টি নামে। সেই বৃষ্টি অনেক সময় নেওয়ায় কার্টেল ওভারে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ ওভার কাটা পড়ে। ১৪ ওভারে প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪২ রান। বৃষ্টির আগ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান। বৃষ্টির পর ৫ ওভারে অর্থাৎ, ৩০ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭৩ রান।

কিন্তু সেটি নিতে পারেনি দলটি। পাক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১৪ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান করতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। হার দেখতে হয় ৩৩ রানের। ১৮ বলে ১ ছক্কায় ১৮ রান করেন ত্রিস্টান স্টুবস।

পাকিস্তানের হয়ে ৩ ওভারে ১৪ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন আফ্রিদি। ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট লাভ করেন শাদাব। ১টি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।

এর আগে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ ১৮৫ রান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ফিফটি হাঁকিয়েছেন ইফতেখার আহমেদ ও শাদাব খান। এছাড়া ক্যামিও ইনিংস খেলেন ফখরের পরিবর্তে বিশ্বকাপ দলে ডাক পাওয়া মোহাম্মদ হারিস।

ইনিংসের প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ রিজওয়ানকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে পাকিস্তান। তবে টপ অর্ডারে নেমে দলকে ঝড়ো ইনিংস উপহার দেন একাদশে জায়গা করে নেওয়া হারিস। তবে পঞ্চম ওভারেই ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। এর আগে ১১ বলে ২ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ২৮ রানের ক্যামিও খেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ফিরে যান অধিনায়ক বাবর আজমও। টানা ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে যাওয়া এই তারকা এদিন করেন ১৫ বলে মাত্র ৬ রান। সপ্তম ওভারে শান মাসুদ আউট হলে, ঘোর বিপদে পড়ে পাক শিবির। তবে সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে ইফতেখার আহমেদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ ৫২ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান। ২২ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করে নওয়াজ আউট হলে ভাঙে সেই জুটি।

পরবর্তীতে ষষ্ঠ উইকেটে শাদাবকে সাথে নিয়ে ৮২ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে সহায়তা করেন ইফতেখার। দুজনই হাঁকিয়েছেন ফিফটি। ৩৫ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেলেন ইফতেখার। আর মাত্র ২০ বলে ফিফটি হাঁকানো শাদাব ৩ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ২২ বলে ৫২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে ৪১ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেন অ্যানরিখ নরকিয়া। ওয়েন পারনেল, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি ও তাবরাইজ শামসি ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here