স্পোর্টস ডেস্ক:: স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় এক দিনের ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের ২৯.২ ওভার হাতে রেখে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে নিশ্চিত করলো তামিমের দল।
এই জয়ের ফলে বাংলাদেশ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডেতে টানা দশম জয়ের ‘রেকর্ড’ করলো। সেই সাথে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে জিতলো বিশ তম ওয়ানডে ম্যাচ। আগে ব্যাট করে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১০৯ রান টার্গেট দেয় সফরকারী বাংলাদেশকে। জবাবে খেলতে নামা বাংলাদেশ মাত্র ২০ ওভার ৪ বলে এক উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে।
১০৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দল দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে দারুণ শুরু করেন। উদ্বোধনী জুটি থেকেই বাংলাদেশ তুলে নেয় ৪৮ রান। জয় থেকে বাংলাদেশ তখন ৬১ রান দূরে ছিলো। দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকাবল ও লিটন দাসের ৬৪ রানের জুটিতে বাংলাদেশ ২০.৪ ওভারে এক উইকেটে তুলে ফেলে ১১২ রান।
ইনিংসের ১৩তম ওভারের প্রথম বলে গুদাকেশ মটির শিকারে শান্ত ফিরলে ভাঙ্গে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ৪৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২০ রানে শান্তি ফিরেন সাজঘরে। ৩৬ বলে দুই চারে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন এই ওপেনার। অধিনায়ক তামিম ইকবাল সাত চারে ৬২ বলে ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। ছয় চারে ২৭ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে গুদাকেশ মটি ১টি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা উইন্ডিজরা দুর্দান্ত নাসুম-মিরাজরাদের স্পিন ভেলক্বীতে বেশি দূর যেতে পারেনি। শেষ উইকেটে কিমো পল ও মটির ২২ রানের জুটিতেই ১০৮ রান তুলতে পেরেছে। ১০৯ রান তুললেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামা উইন্ডিজকে শুরু থেকেই চেপে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। নাসুমের তিন, মোসাদ্দেকের চার, মোসাদ্দেক ও শরিফুলের একটি করে উইকেটে ৩৮ ওভারেই শেষ হয়ে নিকোলাস পুরানের দলের ইনিংসি।
ব্যাট করতে নামা স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের শিকারে প্রথম উইকেট হারিয়েছে। ইনিংসের ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে প্রথম উইকেটের দেখা পায় সফরকারী বাংলাদেশ।
মোসাদ্দেকের পরপরই আগের ম্যাচে অভিষেক হওয়া নাসুম আহমেদ পেয়েছেন প্রথম উইকেটের দেখা। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে নাসুমের প্রথম শিকার ব্রুকস। এরপর নিজের ষষ্ট ওভারে জোড়া আঘাত করেন তিনি। ইনিংসের ১৮তম ওভারের চতর্থ বলে ওপেনার শাই হোপ, পঞ্চম বলে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকে সাজঘরে পাঠান তিনি।
দলীয় ২৭ রানে ক্যারিবিয়ান ওপেনার কাইল মায়ার্সকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন মোসাদ্দেক। বল হাতে ইনিংস শুরু করা মোসাদ্দেক নিজের ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ১৭ রানে ব্যাট করা মায়ার্সের স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেন। এরপরই নাসুম আঘাত হানেন উইকেটে। নিজের ব্যক্তিগত চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে, ইনিংসের ১৪তম ওভারের চতুর্থ বলে এই স্পিনার ভেঙ্গে দেন ৫ রানে থাকা ব্রুকসের স্ট্যাম্প। এরপর দলীয় ৪৪ রানে তৃতীয় উইকেটে ব্যক্তিগত ১৮ রানে শাই হোপ ও দলীয় ৪৫ রানে রানে খাতা খোলার আগেই পুরান ফিরেন সাজঘরে।
এরপরই উইকেটে আঘাত হানে শরিফুল। ইনিংসের ২৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৬৯ রানে ১৩ রান করা পাওয়েলকে সাজঘরে পাঠান তিনি। পরের ওভারেই শিকারে নামেন আগের ম্যাচে দারুণ বোলিং করা মিরাজ। ২৭তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৭২ রানে ব্যক্তিগত ১১ রান করে ব্রেন্ডন কিংকে প্যাভেলিয়নের পথ ধরান তিনি। এরপরই রান আউটের শিকারে সাজঘরে ফিরেন আকিল হোসেন।
দুর্দান্ত হয়ে উঠা মিরাজে শেষ পর্যন্ত ১০৮ রানে থেমে যায় নিকোলাস পুরানদের ইনিংস। শেষ উইকেটে গুদাকশ মটি ও কিমো পল ২২ রানের জুটি গড়াতেই শতরান পেরুয় তাদের ইনিংস। মিরাজ শেষ ব্যাটার হিসেবে ৩৫তম ওভারের শেষ বলে মটিকে এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে ফেললে শেষ হয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে মিরাজ ৮ ওভারে এক মেডেনে ২৯রানে ৪টি, নাসুম ১০ ওভারে ৪ মেডেনে ১৯ রানে ৩টি, মোসাদ্দেক ও শরিফুল ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০