দিন শেষে আশা বাঁচিয়ে রাখলেন বোলাররাই

    0
    33

    স্পোর্টস ডেস্ক: চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে বোলারদের নৈপুর্ণ্যে লড়াই করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২২ রানে হারলেও বোলারার প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডের ২০টি উইকেট নিতে পেরে ছিলেন।

    দ্বিতীয় টেস্টে ঢাকায়ও তেমনই বোলাররাই স্বাগতিক বাংলাদেশের প্রান। ব্যাটসম্যানরা যেখানে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন, দিন শেষে বোলাররা সেখানে মাত্র ৫০ রানে ইংল্যান্ডের তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলেন।

    ঢাকা টেস্টে দারুণ শুরু করে ছিলেন তামিম-মুমিনুল। তামিমের সঙ্গী ইমরুল দ্রুত আউট হয়ে গেলে উইকেটে তীতু হন তামিম-মুমিনুল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দু’জনে মিলে গড়েন ১৭০ রানের পার্টনারশীপ। বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং যা এটুকুই। তামিম সেঞ্চুরি করে, মুমিনুল অর্ধশতক হাঁকিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলে বাংলাদেশের অন্য ব্যাটসম্যানরা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেন।

    মিরপুরেও দেখা গেল চট্টগ্রামের ধারাবাহিকতা। বৃষ্টিতে দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান মিলে ৫০ রানে তুলে নিয়েছেন ইংলিশদের তিন উইকেট। বাংলাদেশের চেয়ে প্রথম ইনিংসে এখনও ১৭০ রানে পিছিয়ে সফরকারী ইংল্যান্ড।

    শেষ বিকেলে মিরপুরের উইকেটে সাকিব-মেহেদির ঘূর্নি যেন আফসোস আরও বাড়াচ্ছিল। ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের অনুকূলেই ছিল সব। টস জিতে আগে ব্যাটিং, দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের ১৭০ রানের জুটি।

    তবে মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা দিনটা করে দিলেন ইংলিশদের। নইলে অমন ব্যাটিং কেন? খেলাটা যে টেস্ট সেটিই যেন ভুলে গেলেন মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, শুভাগত। এ তিন ব্যাটসম্যানই উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। মিডলঅর্ডারের ব্যর্থতা বাংলাদেশকে ২২০ রানে গুটিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ড খেললো ১২.৩ ওভার।

    সময়ের সঙ্গে বাংলাদেশের ইনিংস যেমন খাদে পড়েছে ‍উইকেটও বদলেছে তার আচরণ। প্রথম ঘন্টার পরই বল মন্থর হয়ে আসতে শুরু করে ব্যাটে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে টার্ন। চট্টগ্রামের উইকেট যেন ফিরে আসে মিরপুরে।

    কঠিন উইকেটেই সাবলীল থেকে ব্যাট করে গেছেন তামিম-মুমিনুল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ইমরুল যখন ক্রিস ওকসের শিকারে পরিণত হন দলের রান তখন মাত্র ১। সেখান থেকে তামিম-মুমিনুল জুটি ১৭১ পর্যন্ত নিয়ে যান বাংলাদেশকে। ১০৪ রানের ইনিংস খেলে মঈন আলীর বলে এলবিডব্লুউ হন তামিম। ১৪৭ বলে ১২টি চারের সাহাজ্যে সাজান ইনিংসটি বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে দিয়েই আ‌উট হন তামিম।

    এরপরই বালুর বাঁধের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। দলীয় ১৯০ রানে ব্যক্তিগত ৬৬ রান করে মঈন আলীর করা স্টাম্পের উপর বলটি ব্যাকফুটে ড্রাইভ করতে গেলে লাইন মিসে বোল্ড হন মুমিনুল। আর ৬ রান যোগ হতেই বেন স্টোকসের অফস্টাম্প বরাবর লাফিয়ে ওঠা বলটি ব্যাটের কানায় লাগিয়ে কুককে স্লিপ ক্যাচের অনুশীলন করান মাহমুদউল্লাহ (১৩)।

    খানিক বাদেই ফিরে যান মুশফিক (৪) সাব্বির (০), শুভাগত (৬)। অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে বেয়ারস্টোর বিশ্বস্ত গ্লাভসে ধরা পড়েন শুভাগত। অনেকটা আত্মাহুতি দেন এ ব্যাটসম্যান।

    প্রথম টেস্টে ব্যাট হাতে ব্যর্থ মেহেদি হাসান মিরাজ জুটি বাঁধেন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে। তবে এ দিনও ব্যাট হাতে হতাশ করেন মিরাজ। মঈন আলীর ঝুঁলিয়ে দেয়া বলটি সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লুউ হন মাত্র ১ রান করে। শেষ ভরসা সাকিব আল হাসানও (১০) উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন। ক্রিস ওকসের করা অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বলটি ব্যাটের পরশ বুলাতে গিয়ে বেয়ারস্টোর হাতে ধরা পড়েন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

    মঈন আলীর পঞ্চম শিকার হন কামরুল ইসলাম রাব্বি। রানের খাতা খেলার আগেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। অপর প্রান্তে ৫ রানে অপরাজিত থেকে যান তাইজুল ইসলাম। শেষ ৪৯ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে না বসলে হতে পারতো এটি বাংলাদেশের দিন।

    এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/বা/০০

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here