স্পোর্টস ডেস্ক:: টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বেহাল দশা। ইনিংস উদ্বোধনে স্বস্তি পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তৃতীয় টি-২০ ম্যাচটিতেই ব্যতিক্রম হলো না। দীর্ঘ দিন পর সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় আবারো ব্যর্থ হলেন। বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি পেলো মাত্র ৩৫ রান। অর্ধশতকের আগেই দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের মান বাঁচিয়েছেন দুই তরুণ ব্যাটার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৬৩ রানের পূঁজি পেয়েছে মূলত লিটন, আফিফ আর রিয়াদের ছোট্ট একটি ইনিংসে ভর করে। লিটন এক রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও আফিফ হাফ সেঞ্চুরি করেই ফিরেছেন রানআউটের শিকারে। সিরিজ জয়ের জন্য ১৬৪ রান করতে হবে স্বাগতিকদের।
ব্যাটিংয়ে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি বাংলাদেশে। এনামুল হক বিজয় ও সাকিব দ্রুত গেলে ফিরে গেলে লিটন দাস ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর’র তৃতীয় উইকেট জুটিতে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত ব্যাট করা লিটন দাস ফিরেছেন মাত্র এক রানের আক্ষেপ নিয়ে। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে সাজ ঘরে ফেরায় ফিফটি হয়নি তার।
ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই হারায় ওপেনার বিজয়কে। লিটনকে নিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে তিনি ৩৫ রানের জুটি গড়েন উদ্বোধনী ইনিংসে। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ১০ রানে সাজঘরে ফিরেন এই ওপেনার। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা সাকিবও ফিরেন দ্রুত। দলীয় ৪২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা। ব্যক্তিগত ৫৪ রানে সাজঘরে ফিরেন এই অলরাউন্ডার।
দ্রুত দুই উইকেট হারানো দলকে থেকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেন লিটন ও আফিফ। তৃতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন ৪৪ বলে। এরপরই লিটন ফিরেন সাজ ঘরে। দলীয় ৯৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই ওপেনার ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে প্যাভেলিয়নে ফেরার আগে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪১ বলে ৪৯ রান করেন।
চতুর্থ উইকেটে রিয়াদকে নিয়ে আফিফ গড়েন আরেকটি দায়িত্বশীল জুটি। ৩৫ বলে ৪৯ রান তুলে এই দুই ব্যাটের বিপর্যয় ঠেকানো ইনিংসটি। এরপরই সাজঘরে ফিরেন অধিনায়ক রিয়াদ। ইনিংসের ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ২২ রানে এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। রিভিউ নিয়ে বাঁচতে পারেননি তিনি। ২০ বলের ইনিংসে দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। তার বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরেন আফিফও। দলীয় ১৫০ রানে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে রানআউটের শিকার হন তিনি। এক রানে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করা এই তরুণ দ্বিতীয় রান নিতে গিয়েই রানআউট হয়ে যান। মোসাদ্দেকের অপরাজিত ১০ আর সোহানের অপরাজিত ২ রানে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৬৩ রান তুলতে সমর্থ হয়।
স্বাগতিকদের হয়ে হ্যাডেন ওয়ালশ ২টি, ওডেন স্মিথ ও শেফার্ড রোমারিও ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০