স্পোর্টস ডেস্কঃ প্রথমবারের মতো মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের গল্পটা নেপালে লিখেছিল বাংলাদেশ। সেই নেপালেই মুকুট ধরে রাখার মিশনে নামবেন সাবিনা-কৃষ্ণারা। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ড্র। মুকুট ধরে রাখার মিশনে গ্রুপ পর্বে গতবারের প্রতিপক্ষদেরই পেয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই ফাইনালে কৃষ্ণা রানী সরকার দুটি ও শামসুন্নাহার জুনিয়র একটি গোল করেছিলেন। দলীয় প্রাপ্তির পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্জনও মুঠোভরে পেয়েছিল বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। ৮ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জয়ের পাশাপাশি প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়ের মুকুটও জিতেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। রুপনা চাকমা হয়েছিলেন সেরা গোলরক্ষক।
এদিকে এবারের সাফ শুরুর আগে বাংলাদেশের মেয়েদের লেবাননে একটি টুর্নামেন্ট খেলার কথা ছিল। তবে সেটি আর হচ্ছে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না পাওয়ায় নারী দলকে লেবাননে টুর্নামেন্ট খেলতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে বাফুফেকে। তবে সাফের প্রস্তুতির জন্য খুব দ্রুতই প্রতিপক্ষ খুঁজে নিয়েছে তারা। এখন জুলাই উইন্ডোতে থিম্পু গিয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবেন সাবিনারা। নারী ফুটবল কমিটির সভা শেষে ম্যাচ দুটি ম্যাচ খেলার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন কমিটির চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরন।
ম্যাচ দুটি হবে ১১ ও ১৪ জুলাই। এদিকে দুর্বল ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা প্রসঙ্গে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘আমরা তো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা করি; কিন্তু প্রতিপক্ষ পাওয়াই কঠিন। চোখ ছিল অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী দলের বিপক্ষেই ম্যাচ খেলা। এখন শক্তিশালী দল না পেলে কম শক্তির দল হলেও খেলতে হবে।’ এদিকে আসন্ন সাফে গতবারের মতো এবারও ভারত ও পাকিস্তান ‘এ’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশের সঙ্গে। ‘বি’ গ্রুপে স্বাগতিক নেপালের সঙ্গে আছে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভুটান। আগামী ১৭ অক্টোবর শুরু হয়ে ৩০ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ফুটবলের সর্বোচ্চ এই আসরের। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে হবে আসরটি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post