স্পোর্টস ডেস্ক:: বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ মুশফিকুর রহিম। আরো এক দলের বিপর্যয়ে হাল ধরলেন। এক প্রান্তে উইকেট হারাতে থাকা টাইগার ব্যাটিং লাইনআপকে টানলেন। আইরিশদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তার ফিফটিতেই দুইশো পার করেছে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত মুশফিকুর রহিম নিজের জন্মদিনটাও রাঙালেন হাফ সেঞ্চুরি দিয়ে।
১৯৮৭ সালের আজকের দিনে বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন মুশফিকুর রহিম। এক দিনের আন্তর্জঅতিক ক্রিকেটে ৪৪তম ফিফটি তুলে নিলেন নিজের জন্মদিনে। ৬৩ বলে পাঁচ চারে ক্যারিয়ারে আরো একটি ফিফটির ঘরে পৌঁছান তিনি।
দ্রুত পাঁচ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছিলো মিরাজ-মুশফিক জুটি। ষষ্ট উইকেটে ৬৫ রানের জুটিও গড়েন দু’জনে। এরপরই মিরাজের বিদায়ে ভেঙেছে প্রতিরোধ হড়া জুটিটি। বাংলাদেশ হারিয়েছে ষষ্ঠ উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। লিটন দাস গোল্ডেন ডাকের পর দ্রুত ফিরেন অধিনায়ক তামিমও। দলীয় ১৫ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে শঙ্কায় পড়া বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলো সাকিব-শান্তর ব্যাটে। দু’জনের ব্যাটে অর্ধশতক পেরিয়েছে টাইগাররা। তবে এরপরই সাজঘরের পথ ধরেছেন সাকিব।
ইনিংসের শুরুতেই গোল্ডেন ডাক মারলেন লিটন দাস। আইরিশদের বিপক্ষে নিজের প্রথম বল মোকাবেলায় ফিরেছেন সাজঘরে। প্রথম ওভারেই বাংলাদেশ হারিয়েছে এক উইকেট। টস হেরে ব্যাট করতে নামা তামিম-লিটনের উদ্বোধনী জুটি স্থায়ী হলো মাত্র ৩ রানের।
ইনিংসের চতুর্থ বলে এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন লিটন দাস। প্রথম বলেই ফিরেন সাজগরে। দলীয় ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। জস লিটলি প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন আইরিশদের। তার বিদায়ের পর ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে উইকেটকিপার লরকান টাকারের হাতে ধরা পড়েন তামিম। ফিল্ড আম্পায়ার নটআউট দিলে আয়ারল্যান্ড রিভিউ নেয়। তাতেই বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ব্যক্তিগত ১৪ রানে সাজঘরে ফিরেন। ১৯ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন দুই বাউন্ডারিতে। দলীয় ১৫ রানেই দুই উইকেট হারায় টাইগাররা।
তৃতীয় উইকেটে শান্তকে নিয়ে ৩৭ রানের জুটি গড়ে সাকিব প্যাভেলিয়নে ফিরেন। দলীয় ৫২ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা। ইনিংসের ১২তম ওভারের প্রথম বলে ব্যক্তিগত ২০ রানে সাজঘরে ফিরেন অলরাউন্ডার সাকিব। ২১ বলের ইনিংসে চার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে শান্ত-হৃদয় মিলে অর্ধশত রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। দলীয় শতরান পেরুতেই সাজঘরে ফিরেন শান্ত। মাত্র ৬ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন তিনি। দলের ১০২ রানে ব্যক্তিগত ৪৪ রানে প্যাভেলিয়নে ফেরেন তিনি। ৬৬ বলের ইনিংস সাজান সাত চারে। তার বিদায়ের পর দ্রুত বিদায় হন হৃদয়ও। দলীয় ১২২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় টাইগাররা। দুই চারে ৩১ বলে ২৭ রানে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান হৃদয়।
ষষ্ঠ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দু’জনে মিলে যোগ করেন ৬৫ রান। তাতেই দুইশোর কাছাকাছি গেছে বাংলাদেশের রান। এরপরই দলীয় ১৮৭ রানে মিরাজ ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। ইনিংসের ৩৮তম ওভারের তৃতীয় বলে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে ডকরেলের শিকারে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ৩৪ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন চারটি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪৪ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২১৪ রান। সপ্তম উইকেটে জুটি গড়েছেন মুশফিক ও তাইজুল। ৫৬ রানে মুশফিক ও ১০ রানে তাইজুল অপরাজিত আছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post