স্পোর্টষ ডেস্ক:: বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসান আরো বছর তিনেক খেলতে চান। লাল-সবুজ জার্সিতে খেলার সুযোগটা তার প্রাপ্য বলেও মনে করেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা এই অলরাউন্ডার। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর সাকিব দেশের জার্সিতে আর খেলতে পারছেন না। ভারত সিরিজে খেলার পরপরই লাল সবুজের জার্সিতে তার খেলার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
পতিত আওয়ামীলীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ছিলেন সাকিব। সরকার পতনের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিরব ভূমিকায় ছিলেন। ফলে সরকার পতনের পর হ/ ত্যা মামলার আসামী হন তিনি। দেশে শেষ টেস্ট খেলতে চাইলে পারেননি। নিরাপত্তার শঙ্কায় ক্রিকেট বোর্ড তাকে দেশে আসতে বারণ করে।
এমনকি দেশের বাইরে সিরিজেও দলে নেওয়া হয়নি সাকিবকে। খেলতে পারেননি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। তবে সাকিব এখনো স্বপ্ন দেখেন তিনি দেশের জার্সিতে খেলবেন। খেলার সুযোগটা তার প্রাপ্য জানিয়ে দেশের একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগটা আমার প্রাপ্য এবং বেশির ভাগ মানুষই চায় আমি দেশের হয়ে খেলে অবসর নিই এবং আরও কিছুদিন চালিয়ে যাই। আমার বিশ্বাস, আরও এক-দুই বছর খেলতে পারব।’
খেলার জন্য সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে যোগাযোগ করেছেন জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘যখন বুঝলাম এত চাপ নিয়ে খেলতে পারব না, তখনই মনে হয়েছে শেষ। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি আমার দেশের হয়ে খেলতে চাই না—আমি এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাই, আর এই ইচ্ছা সব সময়ই থাকবে। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি থেকে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা—সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করেছি।’
আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য হিসেবে ৬ মাস নাকি ক্রিকেটার সাকিবের ১৮ বছর কোনটাকে গুরুত্ব দেবেন সেটা আপনাদের ইচ্ছে জানিয়ে সাকিব ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সংসদ সদস্য ছিলাম কিন্তু এখন তো আর নেই এবং কোনো দলে কোনো রাজনৈতিক পদও নেই। যে কাজটি আমি ১৮ থেকে ২০ বছর (বাংলাদেশের হয়ে খেলা) ধরে করছি, সেটা থামিয়ে দেওয়াটা কি আপত্তিকর নয়? আমি এখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলে ভালোভাবে ক্যারিয়ার শেষ করতে চাই। যদি সুযোগ থাকে আমি এক সিরিজ, দুই সিরিজ নাকি আরও এক বছর খেলব, সেই পরিকল্পনা করতে চাই।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০