স্পোর্টস ডেস্ক:: বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই হোঁচট খেলো। জয়ের লক্ষ্য থেকে হয়তো তখন টিকে থাকার লক্ষ্য। ব্যাট হাতে সাকিব শেষ পর্যন্ত টিকে থাকলেন। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেছে ৩৫ রানে। ১৯৪ রানের টার্গেটে খেলতে নামা বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৫৮ রান তুলতে পেরেছে।
তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে গেলো ১-০ ব্যবধানে। সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। ডোমিনিকার উইন্ডসর পার্কে দ্বিতীয় ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হারলো ব্যাটিং ব্যর্থতায়। বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও লিটন দাস দলকে বিপদেই ফেলেছেন! ১৯৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ এক রানের ব্যবধানেই হারিয়েছে দুই উইকেট।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ও দ্বিতীয় বলে দলীয় ৮ রানেই সাজঘরে ফিরেছেন এনামুল হক বিজয় ও লিটন দাস। ৪ বলে তিন রান করেছেন বিজয়। লিটন করেছেন ৪ বলে ৫ রান। তাদের বিদায়ের পর দ্রুতই ফিরেছেন অধিনায়ক রিয়াদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। ব্যাট হাতে দলকে টানছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে দলীয় ২৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেন রিয়াদ। এক চার ও এক ছয়ে ৭ বলে করেন ১১ রান। ১১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ঝড়ের ইঙ্গিত দেওযা ধ্রুবও ফিরেন সাজঘরে। দলীয় ৭৮ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটে তিনি প্যাভেলিয়নে ফেরেন। তিন চার ও এক ছয়ে ২৭ বলে করেন ৩৪ রান।
এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করতে থাকেন সাকিব। তবে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ইনিংস টিকিয়ে রাখলেও দলের হার এড়াতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থেকেছেন তিনি। পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান এই অলরাউন্ডার। শেষ দিকে ১৫ রান করেন মোসাদ্দেক। ৫ রানে সাকিবের সঙ্গে অপরাজিত থাকেন মাহদী হাসান।
উইন্ডিজদের হয়ে রোমারিও শিফার্ড ও ওবেদ ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
ডোমিনিকায় রোববার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে ১৯৩ রান করেছে ক্যারিবিয়ানরা। খরুচে বোলিং করেছেন তাসকিন আহমেদ-সাকিব আল হাসানরা। মাত্র ২০ বলে ফিফটি করেন উইন্ডিজ সহ অধিনায়ক পাওয়েল। এটি উইন্ডিজের তৃতীয় দ্রুততম ফিফটি। প্রথম ৪ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল স্বাগতিকরা। তবে অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও ব্রেন্ডন কিংয়ের ৭৬ রানের জুটি সে চাপ ভালো ভাবেই সামাল দেয় ক্যারিবিয়ানরা।
ক্যারিবিয়ান ওপেনার কিং ৪৩ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় করেন ৫৭ রান। পাওয়েল মাত্র ২৮ বলে ৬১ রান করেন। ৪০ রান দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শরিফুল। দলের সবচেয়ে খরুচে বোলার তাসকিন। ৩ ওভারে ৪৭ রান খরচ করে উইকেটের দেখা পান নি এই পেসার।
এছাড়া মুস্তাফিজও থেকেছেন উইকেটশূন্য। মেহেদি হাসান ৪ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন। এছাড়া সাকিব আল হাসান উইকেট পেলেও রান খরচ করেন ৩৮। মোসাদ্দেক হোসেন ১ ওভার করে মেইডেনসহ তুলে নেন অধিনায়ক পুরানের উইকেট।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবিয়ান ওপেনার কাইল মায়ার্স ৯ বলে ১৭ করে ফিরে যান। তিনে নামা সামারাহ ব্রুক শূন্য করেন। এরপর ৭৪ রানের জুটি গড়েন ওপেনার কিং ও চারে নামা অধিনায়ক নিকোলাস পুরান। মোসাদ্দেক ওই জুটি ভাঙেন। তার আগে পুরান খেলেন ৩০ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংস। এরপর কিং ও পাওয়েল ঝড়ো শুরু করেন।
কিং ফিরে যান ৪৩ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় ৫৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। তবে পাওয়েলের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড অবস্থা হয় টাইগার বোলারদের। তিনি ২৮ বল খেলেন ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ছয়টি ছক্কার শট তোলেন। চার মারেন দুটি।
বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল ২টি, মেহদী, সাকিব ও মোসাদ্দেক ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০