স্পোর্টস ডেস্কঃ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দলকে জিতিয়েছেন নজিবউল্লাহ জাদরান ও হজরতউল্লাহ জাজাই। তবে টর্নেডো ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে ম্যাচ সেরা হয়েছেন নজিবউল্লাহ। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানরা।
হারারেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রানের বড় পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দলটির রান তোলার কারিগর সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলে মাধেভেরে।
৩১ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার মারে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন রাজা। ২৪ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করেন ওপেনার মাধেভেরে। এছাড়া ২৪ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৯ রান করেন রেগিস চাকাভা।
আফগানিস্তানের হয়ে এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া নিজাত মাসুদ ৪ ওভারে ৩৯ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দেখা পান তিনি। এছাড়া ফজলহক ফারুকী, রশিদ খান ও অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
১৬০ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চার বল হাতে রেখেই সেটি টপকে আফগানিস্তান। ১০.১ ওভার স্থায়ী ৮৩ রানের দারুণ এক উদ্বোধনী জুটি পায় দলটি। তবে জাজাই ও রহমানউল্লাহ গুরবাজের মধ্যকার সেই জুটি ভাঙার পর খানিকটা বিপাকে পড়ে সফরকারীরা। দ্রুত আরও দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। আর এতে স্বপ্ন দেখা শুরু করে জিম্বাবুয়ে।
তবে সেই আশা গুঁড়েবালি করে দেন নজিবউল্লাহ। তিনি ২৫ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে ১৯.২ ওভারে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন হলেও, দুই বলেই খেলা শেষ করে দেন তিনি। ব্লেসিং মুজারাবানির প্রথম বলে ২ রান নেওয়ার পর, দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান।
তার সাথে ৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৫ রান করে মাঠ ছাড়েন নবী। এর বাইরে ওপেনার জাজাই ২৬ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৪৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। ধীর গতির ব্যাটিংয়ে ৩৬ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করেন আরেক ওপেনার গুরবাজ। যেটি কিনা আফগানিস্তানকে বেশ ভুগিয়েছে।
জিম্বাবুয়ের হয়ে দারুণ বল করেন রায়ান বার্ল। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন। তবে এরপরও জয়ী দলের কাতারে থাকতে পারলেন না। এর বাইরে লুক জঙ্গে ১টি উইকেট লাভ করেন।