নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শেষ হলো আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই। তবে মিরপুরের শের-ই বাংলায় একপেশি ম্যাচ দেখা গেছে। যেখানে মোহামেডানকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী। মোহামেডানের দেওয়া ২৩৬ রানের লক্ষ্য মাত্র ৩৫ ওভারেই টপকে গেছে আকাশী-নীলরা। নাঈম ইসলাম আগ্রাসী সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।
এই নিয়ে নিজেদের টানা তিন ম্যাচেই জিতলো আবাহনী। ৬ পয়েন্ট দলটির নামের পাশে। অপরদিকে আসরে দ্বিতীয় হার দেখলো মোহামেডান। তিন ম্যাচ খেলে দুটি হার ও এক পরিত্যক্ত ম্যাচের হিসেবে ১ পয়েন্ট মাত্র দলটির।
মোহামেডানের দেওয়া ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় আবাহনী। ১৭ রান করে ইনফর্ম এনামুল হক বিজয় ফিরলে, ভাঙে সেই জুটি। এরপর টপ অর্ডারে নামা মাহমুদুল হাসান জয়কে সাথে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন নাঈম। ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জয়।
দ্রুতই ফিরেন দলের বিদেশী ভারতীয় বাবা ইন্দ্রজিৎ। এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুবকে সাথে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন নাঈম। তুলনামূলক দ্রুত রান তুলছিলেন দুজনই। তবে একটা সময় ফিরে যান আফিফ। ব্যক্তিগত ফিফটি পূরণ করার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় এই বাঁহাতিকে। ৪১ বলে ৪৯ রানে কাঁটা পড়ে ফিফটি মিসের আক্ষেপে পুড়তে হয় আফিফকে।
এরপর আর দলের কোনো উইকেট হারাতে দেননি নাঈম শেখ। মোসাদ্দেক হোসেনকে সাথে নিয়ে মাত্র ৩৪.৩ ওভারেই দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নাঈম অপরাজিত থাকেন ১১০ রানে। ৮৬ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১১ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার মারে। অপরপ্রান্তে মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ২৫ রান করে।
মোহামেডানের হয়ে রুয়েল মিয়া, এনামুল হক জুনিয়র, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরুর পরও নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রানের পুঁজি পায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন মিলে গড়েছিলেন ১৩৭ রানের দারুণ জুটি।তবে শুরুর দারুণ ব্যাটিং ধরে রাখতে পারেনি ঐতিহ্যবাহী দলটি। ২৮.৩ ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর হুট করে ছন্দ হারায় মোহামেডান। ব্যর্থ হন দুই তারকা সৌম্য সরকার (১), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩)।
মাঝে অনুস্তুপ মজুমদার ও আরিফুল হক মিলে গড়েন ৪৫ রানের জুটি। সেই জুটি ভাঙলে ফের বিপদে পড়ে মোহামেডান। শেষ দিকে আরিফুলের ৩৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে লড়াকু পুঁজি পায় দলটি। অনুস্তুপ করেন ৩০ রান। সর্বোচ্চ ৮৫ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন অঙ্কন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৬ বলে ৬৮ রান করেন অধিনায়ক ইমরুল।
আবাহনীর হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। একাই শিকার করেছেন ৪৫ রানে ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট লাভ করেন তানজিম হাসান সাকিব ও তানভীর ইসলাম।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post