স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে নারী-পুরুষের মাঝে বড় বৈষম্য রয়েছে। তবে সেই জায়গা থেকে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। এখন থেকে নারী ও পুরুষ দুই পক্ষকেই সমান করে ম্যাচ ফি দেওয়ার সিদ্ধান্ত এনজেডসি। লিঙ্গ বৈষম্যের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক এক সিদ্ধান্ত নিল তারা।
নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কার্যকর হবে এই সিদ্ধান্ত। আগামী ১ আগস্ট থেকে শুরু হবে নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তির মেয়াদ। আর সেসময় থেকেই নারী ও পুরুষ উভয় ক্রিকেটার সমানভাবে অর্থ পাবে। শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নয়, ঘরোয়া ক্রিকেটেও সমান ম্যাচ ফি পাবে উভয় পক্ষ। আপাতত এই সিদ্ধান্ত পাঁচ বছর ধরে চালানোর ঘোষণা দিয়েছে এনজেডসি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেস্টে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ২৫০ নিউজিল্যান্ড ডলার করে পাবেন ক্রিকেটাররা। ওয়ানডেতে ৪ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার ও আর টি-টোয়েন্টিতে ক্রিকেটাররা পাবেন ২ হাজার ৫০০ নিউজিল্যান্ড ডলার করে।
এর বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচের টুর্নামেন্ট প্লাঙ্কেট শিল্ডে ক্রিকেটাররা ম্যাচ ফি হিসেবে পাবেন ১ হাজার ৭৫০ নিউজিল্যান্ড ডলার। ৫০ ওভারের লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টে ম্যাচ ফি হিসেবে পাবেন ৮০০ নিউজিল্যান্ড ডলার। আর টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সুপার স্ম্যাশে ক্রিকেটাররা পাবেন ৫৭৫ নিউজিল্যান্ড ডলার করে।
শুধুমাত্র ম্যাচ ফি নয়। আবাসন, ভ্রমণ ও অনুশীলণ ভাতাও এখন থেকে সমান করে পাবেন নিউজিল্যান্ডের নারী ও পুরুষ উভয় ক্রিকেটাররা। এর বাইরে নারীদের গর্ভকালীন ও মাতৃত্বকালীন সুবিধাও রাখা হয়েছে আগের মতো করে। এসবের বাইরে ঘরোয়া ক্রিকেটে নারীদের কেন্দ্রীয় চুক্তির সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আগে সব মিলিয়ে ৫৪ জন থাকলেও, এখন সেটা হবে ৭২ জন।
এনজেডসি, নিউজিল্যান্ডের ছয়টি আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন ও লিঙ্গ সমতা বিশেষজ্ঞরা একত্রিত হয়ে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেন। আর এতে বিশেষ করে নারী ক্রিকেটাররা বেশ উচ্ছ্বসিত।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা