স্পোর্টস ডেস্কঃ আগামী অক্টোবরে ঘরের মাঠে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও এই দলের রাজনীতিতে জড়িত ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের অনেকেই এখন আড়ালে। তাদের পাশাপাশি দেশের স্বাভাবিক নিরাপত্তা নিয়েও কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইস্যুতে বিসিবি পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘এখন পাপন ভাই (নাজমুল হাসান পাপন) নেই, যদিও এখনও উনি সভাপতি আছেন, যেহেতু পদত্যাগ করেননি। আসিফ মাহমুদ এসেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা হয়ে। উনি সিদ্ধান্ত নেবেন। বলে দিয়েছেন কী করতে হবে। যেহেতু এটা আর আমাদের হাতে নেই, বিসিবির হাতে নেই। এটা এখন সরকার পর্যায়ে চলে গেছে, বিশ্বকাপটা হবে কি না এটাও (তারা সিদ্ধান্ত নেবে)।’
আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে শুরু হওয়ার কথা নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে বাংলাদেশে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতায় শঙ্কার মুখে পড়েছে বিশ্বকাপ আয়োজন। আইসিসিও বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত ও শ্রীলঙ্কার কথা ভাবতে শুরু করেছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত রোববার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছিলেন।
সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে আসিফ বলেছিলেন, ‘আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, এটা (নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তির জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে। আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার আছেন সঙ্গে। আমাদের যেসব বিনির্মাণ করা প্রয়োজন, সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেসব সংস্কারের জন্য আমরা রোববারই বসব। আমি সচিবের সঙ্গে বসব। মন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কয় দিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারব। এটা আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০