নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে তৃতীয় চারদিনের ম্যাচে বড় সংগ্রহ পেয়েছে উইন্ডিজ ‘এ’ দল। সিলেটে আগে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংস ৪৪৫ রান করেছে তারা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ফিফটি করেছেন ৫ ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। স্বাগতিকদের হয়ে বল হাতে দারুণ বোলিং করেছেন নাসুম আহমেদ। এই বাঁহাতি স্পিনার শিকার করেছেন ৫ উইকেট।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই জোড়া ধাক্কা খায় উইন্ডিজ। বাংলাদেশের পেসার মুশফিক হাসান ও শরিফুল ইসলাম শুরুতেই ফেরান কির্ক ম্যাকেঞ্জি-জাচারি ম্যাকাস্কিকে। ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া ক্যারিবিয়ানরা ঘুরে দাঁড়ায় তেজনারায়ণ চন্দরপল ও আলিক আথাঞ্জের ব্যাটে। শুরুর ধাক্কা সামনে ৮১ রানের জুটি গড়েন দুজন।
৫৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি ব্যাটার আথাঞ্জে। পঞ্চাশ পেরোনোর পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। নাসুমের বলে রিভার্স সুইপ করতে করতে গিয়ে এজ হয়ে স্লিপে ধরা পড়েন তিনি। ৫৯ রান করেন আথাঞ্জে। এরপর দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন চন্দরপল ও ডি সিলভা। তাদের দুজনের ১৩২ রানের জুটি ভাঙেন নাসুম। বাঁহাতি এই স্পিনারের দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফেরেন ডি সিলভা। ক্যারিবীয় অধিনায়ক আউট হয়েছেন ৮২ রানের ইনিংস খেলে।
বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি চন্দরপলও। মুশফিকের অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে আউট হয়েছেন তিনি। ৮৩ রানে ফিরতে হয় তাঁকে। দ্রুত বিদায় নিয়েছেন টেভিন ইনল্যাচ। তাকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন নাসুম। এরপর অবশ্য কেভিন সিনক্লেয়ারকে সঙ্গে নিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়েন রেইমন রেইফার। দ্বিতীয় দিন (বুধবার) ৬ উইকেটে ৩২০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে সফরকারীরা। এদিন তারা আরও ১২৫ রান যোগ করেছে।
সাইমন রেইফার আগের দিনের সঙ্গে আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি। ৫৬ রানেই থামেন তিনি। তবে কেভিন সিনক্লেয়ার দারুণ খেলেন। নাসুমের শিকার হওয়ার আগে করেন ৬০ রান। আকিম জর্ডান খেলেন ৪৭ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বাধিক ৫ উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মুশফিক হাসান ও শরিফুল ইসলাম।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post