নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেট টেস্টে পেস বোলিং সহায়ক দুর্দান্ত কন্ডিশন দেখা গেছে। আর সেই কন্ডিশনের সাথে দারুণভাবে খাপ খাইয়ে পারফর্ম করেছেন বাংলাদেশের অভিষিক্ত পেসার নাহিদ রানা। টাইগারদের এই পেসার এদিন ১৪ ওভার বল করে ২ মেইডেনসহ ৮৭ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন।
নিজের অভিষেকে গতির ঝড় তুলেছেন। ঘন্টায় গড়ে প্রায় ১৪৩.৪ কিলোমিটার গতিতে বল করেছেন নাহিদ রানা। টাইগারদের জার্সিতে সকালের শুরুটা মলিন হয়েছিল এই ডানহাতি দীর্ঘদেহী পেসারের। গতির ধারা বজায় রাখলেও, রান খরচ করেছেন। দ্বিতীয় সেশনেও একই অবস্থা ছিল। তবে দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনে নিজের জাত চিনিয়েছেন নাহিদ রানা।
গতি, বাউন্স, সুইংয়ে নাকাল করেছেন নাহিদ। তার বলেই ভাঙে শ্রীলঙ্কার ২০২ রানের দুর্দান্ত জুটি। লঙ্কানদের দুই সেঞ্চুরিয়ান কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভারকে ফেরান নাহিদ। দিনের খেলা শেষে নাহিদের বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডামস বলেন, ‘সে প্রতিভাবান, সে দ্রুতগতির। সে প্রায় প্রতিটি বলই ঘন্টায় ১৪৫ (মূলত ১৪৩.৪) কিলোমিটার গতিতে করেছে। তার অ্যাকশন অনেক সুন্দর। সে এখনও অনেক তরুণ। তার এখনও অনেক শেখার আছে, তবে সে খুবই প্রতিভাবান।’
অ্যাডামস প্রশংসা করেছেন পুরো পেস বোলিং ইউনিটের। কারণ খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলামরা দারুণ বল করেছেন। প্রায় এক বছর পর টেস্টে খেলতে নেমে ৩ উইকেট শিকার করেছেন খালেদ। তার পেস আগুনে পুড়েই বিধ্বস্ত হয় লঙ্কানদের টপ অর্ডার, মনের মতো শুরু পায় বাংলাদেশ। শরিফুলও টানা খেলার ধকলের মাঝে লাইনত-লেন্থ, গতি মেইনটেইন করে খেলেছেন।
এই প্রসঙ্গে অ্যাডামস বলেন, ‘সে (খালেদ) একজন অ্যাকুরেট বোলার। এটা একটা তরুণ বোলিং অ্যাটাক। শরিফুল সেটির দারুণ এক অংশ। আমার মনে হয়, রানা এবং খালেদ ভালো বল করেছে একসাথে। আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছি প্রথন সেশনে, যেটা খুবই এক্সেপশনাল। বিশেষ করে যখন আপনার মনে হবে মাত্র দশ ওভার আসল প্রেশার তৈরি করতে পারবেন এই বলে।’
‘তরুণ পেস বোলিং অ্যাটাক নিজেদের সেরা উপায়ে টেস্ট ম্যাচকে বিশেষ করতে চেয়েছে, যেটা তারা জানে। তারা কঠিনভাবে চেষ্টা করেছে। আমি খুবই খুশি তাদের এমন প্রচেষ্টাতে। আমরা এখন চেষ্টা করছি শেখার আরও কিভাবে ভালো করা যায়।
Discussion about this post