নায়ক হতে পারলেন না আফিফ-মেহেদীরা

0
61

স্পোর্টস ডেস্কঃ সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টিতে হার দেখেছে বাংলাদেশ দল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০ রানের হার দেখেছে টাইগাররা। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

এই হারের পর স্বাভাবিকভাবেই এসেছে পাওয়ার হিটারের প্রশ্ন। কেননা শেষের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের এই পাওয়ার হিটারের প্রয়োজন ছিল ম্যাচে। যেমনটা জিম্বাবুয়ের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রায়ান বার্ল। নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসানের। তবে চেষ্টা করেও, সেটা করতে পারেননি তারা। যার ফলে ব্যর্থ হয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদেরকে।

একাদশে ফেরা অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সামনে সুযোগ ছিল জবাব দেওয়ার। তবে ২৭ বলে মাত্র ২৭ রান করেছেন তিনি। হাঁকিয়েছেন একটি মাত্র বাউন্ডারি। জবাব দেওয়া আর হলো না এই তারকার।

এদিকে আফিফ চেষ্টা করে গেছেন শেষ পর্যন্ত। ২৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে খেলেছেন ৩৯ রানের ইনিংস। তবে সুযোগ ছিল ম্যাচ জয়ের নায়ক হওয়ার। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত হলো না সেটি। তবে এমন ব্যাটারকে ছয়ে নামানোর যৌক্তিকতা নিয়ে ওঠেছে প্রশ্ন। এর জন্য কাঠগড়ায় টিম ম্যানেজম্যান্ট।

সুযোগ ছিল মেহেদী হাসানেরও। এই ‘পিঞ্চ হিটার’ ১৭ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় খেলেছেন ২২ রানের ইনিংস। অনেকটাই আক্রমণাত্বক হচ্ছিলেন মেহেদী। তবে শেষের দিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সিকান্দার রাজার দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হন বাউন্ডারি লাইনে। যদি আরেকটু সময় মাঠে থাকতেন, ম্যাচটা বের করে নিতে পারতেন বলেই আশা ছিল সমর্থকদের।

কেননা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আউট হয়ে যাওয়ার পর, শেষ পাঁচ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫৮ রান। আর জুটি গড়ে, সেটা ভালোভাবেই সামলাচ্ছিলেন আফিফ ও মেহেদী। তবে তাদের জুটি ৩৩ রানে থামলেই, বাংলাদেশের জয়ের আশাও ক্ষীণ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সেটিই ধরা দেয়।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here