নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিল জমিয়ে তুললো ইংল্যান্ড

0
101

স্পোর্টস ডেস্কঃ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাথুম নিশাঙ্কা ক্যাচ ফেলে দেওয়ায় একবার জীবন পেয়ে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নিউজিল্যান্ডকে বড় সংগ্রহ এনে দেন গ্লেন ফিলিপস। বিপর্যয়ের মুখ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয়ের জন্য পর্যাপ্ত পুঁজি পায় কিউইরা। অনবদ্য সেই ইনিংসই জয়ের ভিত গড়ে দেয় নিউজিল্যান্ডের।

এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচেও শুরুতে জীবন পান ফিলিপস। মঈন আলি সহজ ক্যাচ মিস করে ফেলেন। দারুণ ফিফটিও হাঁকিয়েছিলেন তিনি। তবে ১৮০ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে দলকে জয় এনে দিতে পারেননি তিনি। ইংলিশদের বিপক্ষে ২০ রানে হেরে গেছে নিউজিল্যান্ড।

আর ইংলিশদের এই জয়ে গ্রুপ-১’র পয়েন্ট টেবিল জমে উঠেছে বেশ। কোনো দুই দল যাবে সেমি ফাইনালে, সেটি নিয়ে এখনও ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। কেননা ৫ পয়েন্ট করে আছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের। ৪ পয়েন্ট করে আছে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার। ৩ পয়েন্ট নিয়ে কাগজে-কলমে লড়াইয়ে আছে আয়ারল্যান্ডও। সব দলেরই বাকি আছে ১টি করে ম্যাচ।

ব্রিসবেনের গ্যাবায় ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৮০ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ডেভন কনওয়ের উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই ফিরে যান আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন। তবে তৃতীয় উইকেটে ৯১ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ে আশা দেখান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ফিলিপস।

তবে এই জুটি ভেঙে উইলিয়ামসন ফিরলে, সেই জয়ের আশ ফিকে হয়ে যায়। মিডল অর্ডারে জিমি নিশাম, ড্যারিল মিচেলরা ব্যর্থ হওয়ায় জয়ের রেখা স্পর্শ করা হয়নি নিউজিল্যান্ডের। একটা সময় প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফিলিপসও। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের বেশি করতে পারেনি কিউইরা। হার দেখতে হয় ২০ রানের।

দলের হয়ে ৩৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ফিলিপস। তবে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে ৪০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ১০ বলে ১ ছক্কায় ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন স্যান্টনার। ১১ বলে ১ ছক্কায় ১৬ রান করেন ফিন অ্যালেন।

ইংল্যান্ডের হয়ে ৭ জন বল হাতে হাত ঘুরিয়েছেন। এর মধ্যে ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন স্যাম কারান। ৩৩ রানে ২টি নেন ক্রিস ওকস। মার্ক উড ও বেন স্টোকস ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। শুরুটা দারুণ করে ইংলিশরা। অধিনায়ক জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলসের ১০.২ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮১ রান। হেলস আউট হলে সেই জুটি ভাঙে। পরবর্তীতে মঈন আলির সাথে ২৭ রানের জুটি ও লিয়াম লিভিংস্টোনের সাথে ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে যান বাটলার। ইংল্যান্ড পায় দারুণ এক পুঁজি।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন বাটলার। তার ৪৭ বলের ইনিংসটি সাজানো ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাটলারের এটি ১৮তম ফিফটি। এদিকে হেলস ১১তম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটির দেখা পান। তবে তার ইনিংসটি খানিকটা ধীর গতির ছিল। ৪০ বল খেলে ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫২ রান করেন তিনি। ১টি করে চার ও ছয়ের মারে ১৪ বলে ২০ রান করেন লিয়াম লিভিংস্টোন।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২টি উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। যদিও ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৪৫ রান। টিম সাউদি, মিচেল স্যান্টনার ও ইশ সোধি ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here