স্পোর্টস ডেস্ক:: বাফুফেতে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি করেননি আবু নাঈম সোহাগ। ফিফার রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি নির্দোষ। কোনো অন্যায় করেননি। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য লড়াই করছেন তিনি।
আবু নাঈম সোহাগকে ফিফা ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে অর্থ ছয় নয়ের কারণে। এরপরই দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। অর্থের অভাবে সাফ জয়ী নারী দলকে মিয়ানমারে অলিম্পিকের বাছাইয়ে না পাঠানোর কারণে এমনিতেই সমালোচনার মধ্যে ছিলো বাফুফে। এর মধ্যেই সোহাগের দুর্নীতির খবর নতুন করে আলোচনায় আসে ফেডারেশন।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের পরই প্রভাবশালী ছিলেন আবু নাঈম সোহাগ। ফিফার শাস্তি পাওয়ার পর এবার নিজের প্রতিষ্ঠানকেই পাশে পেলেন না তিনি। ফিফা দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিলো, বাফুফে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে আবু নাঈম সোহাগকে।
দুর্নীতির অভিযোগে গত ১৪ এপ্রিল আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য ফুটবলের সকল কর্মকাণ্ডে নিষিদ্ধ করেছিলো ফিফা। ফুটবলের এই অভিভাবক সংস্থার শাস্তির পর বাফুফেও শাস্তি দিয়েছে সাবেক সাধারণ সম্পাদককে। ফিফার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপীর করেন তিনি।
এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। বুধবার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘আমি আজ এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছি কেবল, এটা জানানোর জন্য যে আমি নির্দোষ এবং এই নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য কাজ করছি।’
ফিফা তাদের রায়ে বলেছে আরো অনেকে জড়িত সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘এসব ব্যাপারে এখনই কমেন্টস করবো না। আন্তর্জাতিক কোর্ট অব স্পোর্টস আব্রিট্রেশনে (সিএএস) আপীল করেছি। সেখানেই সব কিছু প্রমাণ হবে। আমি দূঢ়ভাবে আশা করছি, এই অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে এসে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারবো।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০