স্পোর্টস ডেস্ক: মেহেদী হাসান মিরাজের পিতা জালাল হোসেন ভাবতেই পারেননি ভাঙা বাড়িতে এত মানুষ আসবেন। তার ভাড়া করা টিনের ছাউনী আর বাঁশের বাসায় আজ যে তীল ধারণের ঠাই নেই। বাসা ভর্তি আত্মীয় স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী। বাসার চারপাশ শুধু মানুষ আর মানুষ। যেনো গরীবের ভাঙা ঘরে চাঁদের আলো।
চাঁদকে হাতে পাওয়ার মতই। জালাল হোসনে হয়তো ভাবতেই পারেননি তার ছেলে এক দিন ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক বনে ঘরে ফিরবে, তার ছেলেকে শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানাতে হুমড়ি খেয়ে ফেলবে মানুষ। কিন্তুু এমনটাই হচ্ছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৮ টায় বাংলাদেমের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ খুলনায় নিজের বাসায় ফিরেছেন। খুব সাধাসিধে ভাবেই খুলনার খালিশপুরের হাউজিং স্টেটের বিআইডিসি রোডের নর্থ জোন বি ব্লকের ৭ নং প্লটের নিজ বাসায় আসেন এক দিন আগেই বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেওয়া গাড়ী চালক জালাল হোসেনের এই সোনাধন।
মিরাজ বাসাতে আসছেন যেনেই তার বাসামুখী খুলনার ক্রিকেট প্রেমীরা। মিরাজ আসার আগেই লোকে ভর্তি হয়ে তার বাসা। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থাকেন বৃটিশ বধের নায়ককে বরণ করে নেয়ার জন্য।
নিজ শহরে ফিরে এ সময় খুলনাবাসীর ফুলেল শুভেচ্ছা, সংবর্ধনা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন ১৯ বছরের এই ক্রিকেটার। এ সময় ‘মিরাজ’ ‘মিরাজ’ স্লোগান দিতে থাকেন উপস্থিত ভক্তরা। মিরাজকে পেয়ে যেন ঈদের আনন্দ নেমে আসে খুলনায়।
মিরাজ ঢাকা থেকে সোমবার বিকেলের ফ্লাইটে যশোর হয়ে নিজ বাড়িতে যান। মিরাজ বাড়িতে ফেরার পর আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন বাবা মো. জালাল হোসেন, মা মিনারা বেগম, বোন রুমানা আক্তার মিম্মাসহ এলাকাবাসী। বাড়ি ঢুকেই বাবাকে জড়িয়ে ধরেন মিরাজ। ছেলেক জড়িয়ে ধরেন গর্ভধারণী মা মিনারা বেগম। ছেলে আজ বিশ্বজয় করে বাসায় ফিরেছে।
মিরাজ খুলনাতে পৌছার পর তার বাড়িতে চলছে উৎসবের আমজে। কিন্তুু সোমবার রাত হয়ে যাওয়ায় বাসা থেকে বেরুতে পারেননি মিরাজ। আজ মঙ্গলবার এলাকাবাসীর সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন মিরাজ।
মাত্র দুই টেস্ট খেলেছেন মিরাজ। এই মধ্যে চলে আসছেন বিশ্ব সেরাদের কাতারে। প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটের পর দ্বিতীয় টেস্টে ১২ উইকেট। শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমন রাজকীয় আগমন খুলনার ক্রিকেট রাজার। তা যেনো অব্যাহত থাকে বহু বছর।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/বা/০০