স্পোর্টস ডেস্কঃ বিশ্বকাপে শুক্রবার পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে অজিরা। রেকর্ডময় ম্যাচটি তারা জিতেছে ৬২ রানে। ব্যাঙ্গালোরে আগে ব্যাট করতে নেমে রেকর্ড গড়েন দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। রান তাড়ায় পাকিস্তান করতে পারে ৩০৫ রান।
আগে ব্যাট করে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১২৪ বলে ১৬৩ রানের ইনিংস খেলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ওয়ার্নার। তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। অবশ্য দুবার জীবন পাওয়া পেয়েছিলেন তিনি। ১২৪ বলে ৯ ছক্কা ও ১৪ চারে খেলেন ১৬৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। এ নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা চারটি সেঞ্চুরি ওয়ার্নারের। ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এসেছে ম্যাচগুলো।
একই প্রতিপক্ষের সঙ্গে টানা চারটি সেঞ্চুরি করা দ্বিতীয় ব্যাটার ওয়ার্নার। উইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৭-১৮ মৌসুমে টানা চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। এদিকে শুক্রবার উদ্বোধনী জুটিতে মিচেল মার্শের (১২১) সঙ্গে ওয়ার্নার গড়েন ২৫৯ রানের রেকর্ড গড়া জুটি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সেরা উদ্বোধনী জুটি। এই টুর্নামেন্টে উদ্বোধনী জুটিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ এবং যেকোনো জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার উপুল থারাঙ্গা ও তিলকারত্নে দিলশান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮২ রানের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছিলেন। এদিকে দারুণ এই ইনিংসের সৌজন্যে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন ওয়ার্নার। ওয়ানডেতে সেরার পুরষ্কার এই নিয়ে তিনি জিতলেন ১৮ বার এবং বিশ্বকাপের তিন আসর মিলিয়ে পঞ্চমবার। টানা চার সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ সেরা হলেন টানা চতুর্থবার। বিশ্বকাপে ওয়ার্নারের এটি পঞ্চম সেঞ্চুরি, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে যেটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ।
Discussion about this post