স্পোর্টস ডেস্কঃ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশাল পুঁজি পেয়েছে ভারত। সুপার ফোরের ম্যাচটিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে মেন ইন ব্লু’দের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড এটি। এদিন পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনো করে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল।
ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন কোহলি। দেখা পেয়েছেন ওয়ানডেতে ৪৭তম ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৭৭তম সেঞ্চুরির। কলম্বোর এই মাঠে কোহলির চতুর্থ সেঞ্চুরি এটি। এদিকে ৬ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে ষষ্ঠ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন রাহুল। এই দুজনে মিলে এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েছেন।
জিততে হলে পাকিস্তানকে পূরণ করতে হবে ৩৫৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য।
বৃষ্টির কারণে রিজার্ভ ডে’তে গড়ানো ম্যাচে সোমবার কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আগের দিনের করা ২৪.১ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৭ রান থেকে আবার পুনরায় ইনিংস শুরু করে ভারত। এদিন যেন আগের থেকে আরও বেশি আক্রমণাত্বক হয়ে পড়ে দলটি।
দুই ব্যাটার কোহলি ও রাহুল মিলে চড়াও পাক বোলারদের উপর। যদিও সাইড স্ট্রেনের ইনজুরির কারণে হারিস রউফের বল করতে না পারা অনেকটা ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় পাকিস্তানকে। সেই সুযোগ ভালো করেই নেন কোহলি-রাহুল। চড়াও হন পার্ট টাইম বোলারের উপর।
কোহলি-রাহুলের ২৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন রেকর্ড গড়া জুটি ভারতকে বিশাল পুঁজি এনে দিতে সহায়তা করে। এশিয়া কাপে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। কোহলি অপরাজিত থাকেন ৯৪ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ১২২ রান করে।
ওয়ানডেতে শচীন টেন্ডুলকারের ৪৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড থেকে অল্প দূরে আছেন কোহলি। তবে সবচেয়ে কম ইনিংসে (২৬৭) এদিন শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, কুমার সাঙ্গাকারা ও সনাৎ জয়সুরিয়াকে পেছনে ফেলে ওয়ানডেতে দ্রুততম ১৩ হাজার রানের মাইলফলক টপকেছেন কোহলি।
এদিকে ইনজুরি থেকে ফেরার প্রত্যাবর্তনটা বেশ ভালোভাবেই রাঙান রাহুল। ১০৬ বলে ১২ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ১১১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তিনি।
আগের দিন ওপেনিংয়ে নেমে ১৬.৪ ওভারে ১২১ রানের অসাধারণ জুটি গড়েছিলেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। বিধ্বংসী হয়ে উঠা রোহিত ৪৯ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৫৬ রান করে আউট হলে সেই জুটি ভাঙে। এরপর দ্রুতই ফেরেন আরেক ওপেনার শুভমানও। দলীয় ১২৩ রানের মাথায় যখন তিনি আউট হন, তখন তার নামের পাশে ৫২ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৫৮ রান।
পাকিস্তানের হয়ে সব বোলাররাই খরুচে ছিলেন এদিন। এর মধ্যে ১০ ওভারে ৭৯ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি। দিনটিকে তিনি ভুলে যেতেই চাইবেন। অপরদিকে আরেক উইকেট পাওয়া শাদাব খানও ১০ ওভারে ৭১ রান খরচ করেছেন। তবে তিনি একটি মেইডেন ওভার তুলে নিয়েছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post