স্পোর্টস ডেস্ক:: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শততম ম্যাচ। তার ওপর দলের নেতৃত্বভার তাঁর কাঁধে। হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য। তাতেই কিনা বল হাতে দারুণ ম্যাজিক দেখালেন ক্যারিবিয়ান উইকেটরক্ষক ব্যাটার, অধিনায়ক নিকোলাস পুরান।
আগের ৯৯ ম্যাচে একটিতেও সেভাবে বল করেননি। কারণ তিনি যে উইকেটরক্ষক ব্যাটার। গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছন সামলানো আর ব্যাট হাতে রান করাই যে তার কাজ। ৯৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে মোটে মাত্র ৩ বল করেছেন।
সেই পুরান পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে হয়ে উঠলেন দলের সেরা বোলার। ১০ ওভারের পুরো কোটা পূর্ণ করলেন। ৪৮ রানের বিনিময়ে পাকিস্তানের স্বীকৃতি আর সেরা ব্যাটারদের পাঠালেন সাজঘরে। তাতে অবশ্য হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেননি তিনি।
ব্যাট-বল হাতে দুর্দান্ত শাদাবে ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করলো পাকিস্তান। অলরাউন্ডার শাদাবে আড়ালে গেলো বল হাতে দুর্দান্ত হয়ে উঠা উইকেটরক্ষক ব্যাটার নিকোলাস পুরানের কীর্তি।
মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ও তৃতীয় এক দিনের ম্যাচটিতে বৃষ্টি আইনে সফরকারী ক্যারিবিয়ানদের ৫৩ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। আগে ব্যাট করা পাকিস্তান ২৬৯ রান তুলে। জবাবে খেলতে নামা উইন্ডিজ গুটিয়ে যায় মাত্র ২১৬ রানে।
উইন্ডিজের উইকেটরক্ষক ব্যাটার পুরান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে মাত্র তিন বল করে ছিলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনিই বল হাতে হয়ে উঠলেন দলের সেরা বোলার। পাকিস্তানের ব্যাটার ফখর জামান, ইমাম উল হক, মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো ব্যাটারদের ফিরিয়েছেন সাজঘরে।
পুরানের এই কীর্তি ডাকা পড়েছে অলরাউন্ডার শাদাবের দুর্দান্ত পারফর্মে। ব্যাট হাতে দলের সেরা স্কোরার বল হাতেও দলের সেরা বোলার। ব্যাট হাতে ৮৬ রান করেছেন, বল হাতেও প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট শিকার করেছেন।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ইনিংসের মাঝপথে বৃস্টি আঘাত হানে। ঘন্টা খানেক ধরা চলা বৃষ্টি ৫০ ওভারের ম্যাচ কমিয়ে আনে ৪৮ ওভারে। তাতে পাকিস্তান ৯ উইকেটে ২৬৯ রান তুলে। দলের পক্ষে ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন শাদাব খান। ৭৮ বলের ইনিংসে চারটি চার ও তিন ছক্কা হাঁকান তিনি।
স্বাগতিকদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ইমাম উল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা ৭ ফিফটির রেকর্ডও করেন তিনি। ৬৮ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন সাত চার ও এক ছক্কায়। ৩৫ রান আসে ওপেনার ফখর জামানের ব্যাট থেকে। ৩৪ রান করেন খুশদীল শাহ।
উইন্ডিজের হয়ে নিকোলাস পুরান ৪টি ও কিমো পল ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
২৭০ রানের টার্গেটে খেলতে নামা সফরকারী উইন্ডিজ আকেল হোসাইনের ব্যাটে কিছুটা লড়াই করে। তবে শেষ পর্যন্ত ৩৭.২ ওভারে ২১৬ রানে তাদেরকে আটকে যেতে হয় শাদাবের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কাছে হার মেনে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন কিমো পল। ৩৭ বলের ইনিংসে দু’টি চার ও ছয়টি ছক্কার মার ছিলো। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে চেত্রির ব্যাট থেকে। ২১ রান করে সংগ্রহ করেন শাই হোপ ও কিমো পল।
পাকিস্তানের হয়ে শাদাব খান ৪টি ও হাসান আলী ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসনএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০