নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চার দিনের ম্যাচের পর প্রথম দুই ওয়ানডেতে টানা হার, হার বললেও ভুল হবে। পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে রীতিমতো পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তৃতীয় ওয়ানডেতে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা।
সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এখন ২-১ ব্যবধান করলো জুনিয়র টাইগাররা। একইসাথে সিরিজ জয়ের আশাও বাঁচিয়ে রেখেছে স্বাগতিকরা।
পাকিস্তানের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫৯ রানের দারুণ উদ্বোধনী জুটিতে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। তবে এই জুটি ভাঙার সাথে সাথেই খানিকটা বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। কোনো রান যোগ না করেই ৫৯ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। এরপর ৯১ থেকে ৯৫ রানের মধ্যে আরও ২টি উইকেট হারালে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সেই চাপ সামলে উঠে জয়ের পথে এগিয়ে গেলেও, দলীয় ১২৪ থেকে ১৩৫ রানের মধ্যে আরও ২ উইকেট হারায় জুনিয়র টাইগাররা। তবে শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৬ ওভারেই ১৫৫ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। লাল-সবুজের দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৩৬ রান করেন ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক। ৫ বাউন্ডারিতে ২৭ রান আসে মিডল অর্ডারে নামা শিহাব জেমসের ব্যাটে। টপ অর্ডারে নামা জিসান আলম ২৪, আরেক ওপেনার মাহজারুল ইসলাম ২১ রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে আইমল খান ২ উইকেট শিকার করেন।
এর আগে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ইনিংস ৪১.৪ ওভারে মাত্র ১৫৪ রানেই গুঁটিয়ে যায়। দলীয় শতরানের আগেই সফরকারীরা হারায় ৬ উইকেট। এরপর ছোট ছোট জুটিতে ১৫৪ রান করে সফরকারীরা। দুই ওপেনার আনান আওয়াইস ও শাহজাইব খান থিতু হতে পারেন নি। আনান ২ ও শাহজাইব ৩ রান করে ফিরেন।
তিনে নামা মোহাম্মদ তাইব আরিফ প্রতিরোধ গড়লেও ১৭ রানের বেশি করতে পারেন নি। শামিল হোসেনও ১৭ রানের বেশি করতে পারেন নি। অধিনায়ক মির্জা বাইগ করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৫ রান। আরাফাত আহমেদ করেন ২৮ রান। শেষদিকে আলি আসফান্দ করেন ২৭ রান। তাতে কোনোমতে দেড়শ’র কোটা পেরোয় পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে রোহানাত দৌলা ও ইকবাল হোসেন নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। শেখ পারভেজ নেন ২ উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেছেন জিসান আলম ও ওয়াসি সিদ্দিকী।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post