নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টানা হারের বৃত্ত ভাঙতে পারল না বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে টানা ষষ্ঠ হারের মুখ দেখল সাকিব আল হাসানের দল। নিজেদের সপ্তম ম্যাচে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় হারের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। কলকাতায় বাংলাদেশের করা ২০৪ রান ৭ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে পাকিস্তান। লজ্জার হারে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হতে চলল বাংলাদেশের।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ২০৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়েছেন দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক এবং ফখর জামান। প্রথম দশ ওভারেই দুজন স্কোরব বোর্ডে জমা করেন ৫২ রান।শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান কেউই পারেননি নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে। বাধ্য হয়ে বল ঘোরাতে হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকেও। তবে কাজের কাজ হয়নি।
পাকিস্তানের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ২২তম ওভারে। এলবিডব্লিউতে শফিককে ফেরান মেহেদি মিরাজ। তবে শফিক ততক্ষণে এবারের বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ৬৮ রানের ইনিংস। ১২৮ রানে প্রথম উইকেটের পতন। বাবর আজম ১৬ বলে ৯ করেই ফিরেন মিরাজের দ্বিতীয় শিকারে। আর সেঞ্চুরির দিকে ছুটতে থাকা ফখর জামান থেমেছেন ৮১ রানে। তাকেও ফিরিয়েছেন মিরাজ।
এরপর ক্রিজে থাকা ইফতেখার আহমেদ আর মোহাম্মদ রিজওয়ান দেখেশুনেই ইনিংস শেষ করেছেন। এই ম্যাচের পর ৭ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের। আর ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনও সেমির আশা বাঁচিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেটই নিয়েছেন মিরাজ। আর কোনো বোলারই নামের সুবিচার করতে পারেন নি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদির শিকারে পরিণত হন তানজিদ হাসান তামিম। ওয়ানডেতে ১০০তম উইকেট এটি শাহিনের। ইনসুইংয়ের লাইন মিস করেন তানজিদ। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও টেকেন নি আজ। শাহিন পরের ওভারে বল করতে এসে ফেরান ৪ রান করা ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা এই বাঁহাতি ব্যাটারকে।
মুশফিকুর রহিমকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দিয়ে পাঠানো হয়েছিল চারে। ব্যর্থ তিনিও। হারিস রউফের ইনসুইং তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটকিপার রিজওয়ানের গ্লাভসে। মাত্র ৫ রানেই শেষ হয় মুশফিকের ইনিংস। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে জুটি গড়েন লিটন। এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে পাঁচে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। আস্থার প্রতিদানও দেন ব্যাটে।
দারুণ এক জুটি গড়ার পর বিদায় নেন লিটন। ৬৪ বলে ৬ চারে ৪৫ রান করেন তিনি। লিটনের বিদায়ের পর ফিফটি হাঁকিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ৭০ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৫৬ রান করে শাহিনের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। এরপর ব্যাট করতে নেমে একটা ছক্কা মেরেই ওসামা মীরের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়।অধিনায়ক সাকিব বিদায় নেন ৬৪ বলে ৪ চারে ৪৩ রান করে। মোহাম্মদ ওয়াসিমের দারুণ গতির বল তুলে মারতে চেয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু বলে-ব্যাটে হয়নি। ৩০ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ২৫ রান করেন তিনি।
পাকিস্তানের পক্ষে সফলতম বোলার শাহিন আফ্রিদি। ৯ ওভারে এক মেডেনসহ মাত্র ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। ৮.১ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ওয়াসিমও। হারিস রউফের শিকার হয়েছেন দুই টাইগার। বাকি দুটি গেছে ইফতেখার ও উসামা মীরের ঝুলিতে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০