নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কোয়ালিফায়ারে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে ম্যাচে রংপুর রাইডার্স পাত্তায়ই পেল না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দলটি হেরেছে ৭০ রানের বড় ব্যবধানে। কুমিল্লার দেওয়া ১৭৮ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে রংপুর অলআউট হয়েছে মাত্র ১০৭ রানে। আর এতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে রাইডার্সদের।
রংপুরকে টপকে টেবিলের দুই নাম্বারে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে ইমরুল কায়েসের দল। একইসাথে নিশ্চিত হয়েছে কোয়ালিফায়ারে খেলাও। প্রথম তিন ম্যাচে হার। এরপর থেকে টানা ৯ জয়ে রীতিমতো উড়ছে কুমিল্লা। শেষ ম্যাচে তাদেরকে বল হাতে জয় এনে দিল মুস্তাফিজুর রহমান, সুনীল নারাইন, তানভীর ইসলামরা। এর আগে ব্যাট হাতে লিটন দাস, খুশদিল শাহ, জাকের আলি অনিকরা আলো ছড়িয়েছেন।
কুমিল্লার ১৭৮ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। উইকেটে থাকাটাই যেন চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়ছিল দলটির কাছে। শেষ পর্যন্ত তিন ওভার বাকি থাকতেই ১৭ ওভারে মাত্র ১০৭ রানেই গুঁটিয়ে যায় রংপুর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে রহমানউল্লাহ গুরবাজের ব্যাটে। ২২ বলে ১টি করে চার ও ২ ছক্কায় সাজান সেই ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন রাকিবুল হাসান।
কুমিল্লার হয়ে বল হাতে এদিন সবাই দারুণ ছিলেন। এর মধ্যে ৩ ওভারে মাত্র ১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান। তানভীর ইসলাম ও সুনীল নারাইন ২টি করে উইকেট লাভ করেন। ১টি উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল।
এর আগে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৭ রানের বড় পুঁজি পায় কুমিল্লা। লিটন-রিজওয়ানের ব্যাটে ইনিংসের শুরুটা ঝড়ো করে দলটি। ৫ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৪৩ রান। জীবন পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় করেন ২৪ রান।
এরপর সুনীল নারাইন টপ অর্ডারে নেমে ঝড়ো কিছুর ইঙ্গিত দিলেও, বেশি সময় টিকতে পারেননি। দুই বাউন্ডারিতে ৩ বলে ৮ রান করে পাওয়ার প্লে’র এক বল বাকি থাকতে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে সাথে নিয়ে ৩৮ রানের জুটি গড়েন লিটন। রাকিবুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন লিটন। এতে করে মিস করেন ফিফটি। ৩৩ বলে ৩টি করে চার ও ছয়ের মারে ৪৭ রান করে আউট হন এই ওপেনার।
দ্রুতই বিদায় নেন ২০ বলে ১ ছক্কায় ১৯ রান করা ইমরুল কায়েসও। উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপাকে পড়া কুমিল্লার রানের চাকাও ধীর হয়ে যায়। সেখান থেকে ৭২ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন জাকের আলি অনিক ও খুশদিল। ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে ২৩ বলে ৩ ছক্কায় ৩৪ রান করে অনিক ফিরলে, ভাঙে সেই জুটি। এক বল খেলে আন্দ্রে রাসেল কিছুই করতে পারেননি। অপরপ্রান্তে ২০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৪০ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন।
রংপুরের হয়ে বল হাতে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২টি উইকেট লাভ করেন। রাকিবুল, রিপন ও হাসান ১টি করে উইকেট নেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post