স্পোর্টস ডেস্ক: এক সাম্রাজ্য কিন্তু দুই দেশ, তবে আন্তর্জাতিক ভাবে দুই দেশ না হলে ক্রীড়াঙ্গনে তারা একে অপরের প্রতিদ্বন্ধী। রয়েছে ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। এ যেন রোমাঞ্চের আরেক নাম।
ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড এক সাম্রাজ্যের দুই ফুটবল দল। ইংলিশরা তাদের আধিপত্য ধরে রাখলেও ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক কোন ইভেন্টেই আর সুযোগ হয় নি স্কটিশদের।
রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ঐতিহাসিক ম্যাচে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। পারেনি স্কটল্যান্ড। এমনিতেই রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে উড়ছে ইংল্যান্ড। শুক্রবার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও বড় জয় পেয়েছে তারা। গেরেথ সাউথগেটের দল এদিন ৩-০ গোলে হারিয়েছে স্কটল্যান্ডকে। এই ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়ল ইংল্যান্ড। সেইসঙ্গে ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষস্থানটা আরও মজবুত করলো স্বাগতিকরা।
শুক্রবার ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্কটল্যান্ডকে আতিথ্য দেয় ইংল্যান্ড। তবে এদিন পাত্তাই পায়নি স্কটিশ শিবির। শুরু থেকেই নিজেদের দাপট দেখাতে থাকেন সাউথগেটের শিষ্যরা। প্রথমার্ধের ২৪ মিনিটে ইংল্যান্ডকে প্রথম গোল উপহার দেন ড্যানিয়েল স্টারিজ। কাইল ওয়ালকারের বাড়ানো ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে বল প্রতিপক্ষের জালে জড়ান তিনি।
স্টারিজেরই লিভারপুলের সতীর্থ অ্যাডাম লালনা বিরতি থেকে ফেরার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান দ্বিগুন করেন। এবার বলের যোগানদাতা ডেনি রোজ। তারপরও গোল-উদযাপন থামেনি স্বাগতিকদের। ম্যাচের বয়স যখন ৬১ মিনিট তখন দিশেহারা স্কটল্যান্ডের জালে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন গ্যারি কাহিল। এরপর আর কোন গোল না হলে ৩-০ ব্যবধানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
সেইসঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত থাকলো ইংল্যান্ড। যার ২৫টিতে জয় এবং বাকী ৮ ম্যাচে ড্র। বাছাইপর্বে ইংল্যান্ড শেষ পরাজয়ের দৃশ্য দেখেছিল ২০০৯ সালে। সে বছরের অক্টোবরে ইউক্রেনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল ইংল্যান্ড। সেই পরাজয়ের পর থেকেই বাছাইপর্বে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠে থ্রি-লায়ন্সরা। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের ফলে ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ‘এফ’ গ্রুপের শীর্ষস্থানটা আরও মজবুত করলো ইংল্যান্ড। চার ম্যাচ থেকে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে অবস্থান করছে রুনি-কাহিলরা। দুই পয়েন্ট কম নিয়ে এই গ্রুপের দুইয়ে আছে স্লোভেনিয়া। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে তিনে থাকা স্লোভাকিয়ার পয়েন্ট ছয়।
শুক্রবার ইংল্যান্ড ছাড়াও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অন্যান্য ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে ফ্রান্স, চেক প্রজাতন্ত্র, নর্দান আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ডেনমার্ক এবং পোল্যান্ড।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/প্রি/০০