স্পোর্টস ডেস্ক:: বেরসিক বৃষ্টি প্রথমেই কমালো চার ওভার। ম্যাচ চলাকালে আবারো হাজির বৃষ্টি। তাতে কমলো আরো দুই ওভার। ১৪ ওভারের খেলায় দ্বিতীয় দফা বৃষ্টিতে আবারো বন্ধ হয়েছে ম্যাচ। তার আগ পর্যন্ত ১৩ ওভারে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১০৫ রান তুলেছে। সফরকারীদের হয়তো আর ব্যাটিংয়ে নামাই হবে না। ৭ রানে নাসুম ও শুন্য রানে শরিফুল অপরাজিত আছেন।
বৃষ্টি থামলে আম্পায়াররা কার্টেল ওভারে স্বাগতিকদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটিতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা কেবল যাওয়া-আসাল মিছিলই করছেন। পাওয়ার প্লেতেই ফিরেছেন মুনিম-বিজয়। ইনিংসের তৃতীয় বলেই দলীয় ২ রানে প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। ২ রান তুলেই প্রথম ওভারে সাজঘরে ফিরে যান মুনিম শাহরিয়ার। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসেন সাকিব আল হাসান।
বিজয়কে নিয়ে সাকিব দ্রুতই রান তুলতে থাকেন। মারমুখী হয়ে উঠা সাকিবকে সঙ্গ দিতে পারেননি বিজয়। দলীয় ৩৬ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলেই ব্যক্তিগত ১৬ রানে তিনি ফিরেন সাজঘরে। ১০ বলের ইনিংসেও অবশ্য তিন বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি। এলবিডাব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি।
বিজয়ের বিদায়ের পর উইকেটে আসা লিটন দাসও ফিরেন দ্রুত। ইনিংসের সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৫০ পেরুতেই তৃতীয় উইকেট হারায় টাইগাররা। দলীয় ৫২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৯ রানেই সাজঘরের পথ ধরেন লিটন দাস। এরপরই বড় ধাক্কাটা খায় বাংলাদেশ। শুরু থেকেই মারমুখী হয়ে রান তুলা সাকিব আল হাসান ফিরেন সাজঘরে। দলীয় ৬০রানেই চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে সর্বোচ্চ ২৯ রান করা সাকিব ফিরেন প্যাভেলিয়েন। ১৫ বলের ইনিংসে দু’টি করে চার ও ছক্কা হাঁকান তিনি।
এরপরই আসা-যাওয়ার মিছিল শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাটারদের। অধিনায়ক রিয়াদ, আফিফ, সোহানরা দ্রুতই ফিরেন সাজঘরে। সাকিবের বিদায়ের ওভারেই আফিফ ফিরেন সাজঘরে। অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৬০ রানের মাথায় রানের খাতা খুলার আগেই প্যাভেলিয়নে ফেরত যান এই অলরাউন্ডার। এরপর সাজঘরে যান অধিনায়ক রিয়াদও। ইনিংসের ১১তম ওভারের প্রথম বলেই দলীয় ৭৫ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেটে তিনি ফিরেন। ১৩ বলে ৮ রান করেন টাইগার দলনেতা। এরপরই বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের স্বপ্নও ফিকে হয়ে যায়।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০