স্পোর্টস ডেস্কঃ ফিফা বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্বের ম্যাচে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ। কুয়েতের মাঠে বৃহস্পতিবার রাতের এই ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েছে হাবিয়ের কাবরেরার দল। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে আজ প্রথমার্ধে ৪-৪-২ ফর্মেশনে খেলেছে বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরলেও সেরা একাদশে জায়গা হারিয়েছেন আনিসুর রহমান জিকো। তার অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচে গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন মিতুল মারমা। সেরা একাদশে আছেন তপু বর্মণ। সেন্টার ব্যাক পজিশনে তার সঙ্গে আছেন বিশ্বনাথ ঘোষ।
লেফটব্যাকে ইসা ফয়সাল এবং রাইট ব্যাকে সাদ উদ্দিন খেলেছেন। ডিফেন্সিভ মিডে ছিলেন মোহাম্মদ হৃদয়, তার সামনে সোহেল রানা ও মুজিবর রহমান জনি এবং জামাল ভুইয়া। আর আক্রমণভাগে রাকিব হোসেনের সঙ্গে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। এদিকে ম্যাচের সপ্তম মিনিটে সবচেয় বড় সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। গোলরক্ষক মিতুল মারমার থেকে বল নিয়ে ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন রাকিব। তবে তিনি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। দুই মিনিট পর ফিলিস্তিনের ফরোয়ার্ড ওদয় দাববাগ বল পেয়ে মারেন গোলবারের ওপর দিয়ে। অনেকটা ওপরে উঠে এসেছিলেন মিতুল। তবে ফাকা গোলপোস্ট পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড।
১৫তম মিনিটে ফের আক্রমণে বাংলাদেশ। মাঝ মাঠ থেকে জামালের বাড়ানো বল ডানপ্রান্তে পেয়ে যান রাকিব। প্রতিপক্ষে কয়েকজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকেও পড়েন তিনি। তবে তার নেওয়া কোনাকুনি শটটি জাল বাইরের অংশ কাঁপিয়ে যায়। দুই মিনিট পর সেই ডানপ্রাান্ত দিয়ে আবার আক্রমনে লাল সবুজের দল। অনেকটা নিচের থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান ডিফেন্ডার সাদ উদ্দিন। তবে বক্সে ঢুকে পাস দেওয়ার জন্য কাউকে পাননি। ফিনিশিং টানতে পারেননি এই ডিফেন্ডার।
১৯ মিনিটে বিপদ ঘটটে পারতো। বাংলাদেশ রক্ষণে চিড় ধরে এ সময়ে। গোলবারের সামনে বিপদমুখে বল পেয়ে যান ফিলিস্তিনের ইসলাম বাতরান। গোলরক্ষক মিতুল ওপরে উটে আসায় ফিলিস্তিনের এই ফরোয়ার্ড বল মারেন বাংলাদেশি গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে। তবে শট তার লক্ষ্যে ছিল না। জালের ওপরে গিয়ে পড়ে। বড় সুযোগ হাতছাড়া করে ফিলিস্তিন। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে সেই একই পরিস্থিতির সামনে পড়ে বাংলাদেশ। আবারও দুর্বল রক্ষণে চিড় ধরায় ফিলিস্তিন। তবে অফসাইডে এ যাত্রায় কোনো বিপদ ঘটেনি। ওই মিনিটেই পাল্টা আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। তবে ফিনিশিং ব্যর্থতায় হতাশায় ডোবে বাংলাদেশ।
আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে বেশ। এ সময় ফিলিস্তিনের রক্ষনেও চিড় ধরান জামালরা। তবে বারবার একই ভুলে গোল পায়নি কাবরেরার দল। বোধকরি এ এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগটা বাংলাদেশ হাতছাড়া করে খেলার ২৭তম মিনিটে। বাম প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠেন জামাল। দারুণ ক্ষিপ্রতায় কয়েকজনকে কাটিযে বক্সেও ঢুকে পড়েন তিনি। ডানপ্রান্তে থাকা সোহেল রানাকে দেখে পাস দেন তিনি। তবে তার নেওয়া শটটি প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার পাযে লেগে পিরে আসে। ফিরতি শটে বল মারেন জালের ওপর দিয়ে।
৩০ মিনিটে মিতুলের দৃঢ়তায় রক্ষা পায় বাংলদেশ। লং পাসে উড়ে আসা বল রিসিভ করে বক্রে সামনে থেকেগোলে শট নেন ফিলিস্তিনের ফরোয়ার্ড ওদয়। ঝাপিয়ে পড়ে বা পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন মিতুল। ৩০ মিনিটে প্রতিপক্ষের অধিনায়ককে বাজেভাবে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার মোহাম্মদ মজিবর জনি। ৪৩ মিনিটে গোল হজম করে বাংলাদেশ। মিতুল একবার ঠেকিয়ে দিলেও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি তিনি; দ্বিতীয় প্রচেস্টায় অবশেষে জালের দেখা পান ওদয়। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আবারও বাংলাদেশের জালে বল জড়ায়। কর্নারে উড়ে আসা বল সোহেলের পায়ে লেগে চলে যায় শেহাব কুম্বরের পায়ে। গোলমুখ থেকে অনায়াসে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি।
বাংলাদেশ একাদশ
গোলরক্ষক: মিতুল মারমা
রক্ষণ: তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, সাদ উদ্দিন ও ইসা ফয়সাল।
মধ্যমাঠ: মোহাম্মদ হৃদয়, মজিবুর রহমান জনি, সোহেল রানা (জুনিয়র) ও জামাল ভুঁইয়া।
আক্রমণ: রাকিব হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post