নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিপিএলে আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ব্যাট করার সময় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মাঠ ছাড়েন দুর্দান্ত ঢাকার লঙ্কান ব্যাটার দানুশকা গুনাথিলাকা। তার কনকাশন সাব হয়ে মাঠে নামের ১৫ জনের স্কোয়াডে না থাকা লাসিথ করসপোল। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানায় চট্টগ্রাম। তবে ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান জানান, নিয়মের ভেতরেই পড়ে লঙ্কান এই ব্যাটারের বদলি নামা।
সোমবার দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংস শুরুর দ্বিতীয় ওভারেই দুর্ঘটনার শিকার হন ঢাকার ব্যাটার গুনাথিলাকা। আল-আমিন হোসেনের বল ইনসাইড এজ হয়ে আঘাত করে তার হেলমেটে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান তিনি। মুহূর্তে রক্ত ঝরতে দেখা যায় তার গাল থেকে। পরে অবশ্য ঢাকার ফিজিও এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আর মাঠে থাকা হয়নি এই লঙ্কান ব্যাটারের। উঠে যেতে হয়।
এদিকে গুনাথিলাকার বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ঢাকার মান বাঁচিয়েছেন করসপোলে। ব্যাট হাতে খেলেছেন ৪৬ রান (ইনিংস সর্বোচ্চ)। তাতে নির্ধারিত ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনের দল পেয়েছে ১৩৬ রানের পুঁজি। এর আগে দলটির ব্যাটার সাইফ হাসানও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। দলীয় ১১ রানের মাথায় আল আমিন হোসেনের বলে নাজিবউল্লাহ জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফ। ৯ বলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
সাইফের বিদায়ের পর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও টিকতে পারেননি। দলীয় ১৬ রানের মাথায় শুভাগহ হোমের বলে নাহিদউজ্জামানের হাতে ধরা পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার। তার বিদায়ের পর গত ম্যাচে দারুণ খেলা নাইম শেখও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি।
দলীয় ৩১ রানের মাথায় নিহাদউজ্জামানের বলে ৮ রান করে বিদায় নেন নাঈম। নাঈমের পর অ্যালেক্স রসও সাজঘরে ফেরেন মাত্র দুই রানের ব্যবধানে। এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে ১১ রানের বেশি আসেনি। সবমিলিয়ে ৩৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে ঢাকা।
সেই চাপ সামাল দেওয়ার দায়িত্বটা নেন ইরফান শুক্কুর ও লাসিথ ক্রুসপুল্লে। এই জুটিতে যোগ হয় ৪৯ বলে ৭৫ রান। দলীয় ১০৬ রানের মাথায় কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে শুভাগত এর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ক্রিসপুল্লে। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৪৬ রান।
এরপর আর কোনো ব্যাটার আস্থার প্রতিদান দিতে না পারায় শেষমেশ ১৩৬ রানে থামে ঢাকা। চট্টগ্রামের হয়ে বিল্লাল খান ও আল আমিন হোসেন দুটি করে উইকেট নেন।
Discussion about this post