স্পোর্টস ডেস্কঃ সবশেষ ২০২১-২২ সালের মে মাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। রিয়াল মাদ্রিদ ও লিভারপুলের মধ্যকার সেই ফাইনালে কর্তৃপক্ষের অবব্যবস্থাপনা দেখা গেছে। প্যারিসের স্তাদে দে ফ্রান্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে খেলা দেখতে আসা দর্শকরা মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি।
লিভারপুলের সমর্থকরা বিশেষ করে অব্যবস্থাপনার শিকার হয়েছেন। লিভারপুলের সমর্থকদের প্রবেশের দেরী হওয়ায় ম্যাচ পিছিয়ে পর্যন্ত যায় আধা ঘন্টারও বেশি সময়। বাংলাদেশ সময় রাত ১টার সময় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, সেটি শুরু হয় ১.৩৬টার দিকে।
মূলত নির্ধারিত সময়ে মাঠে আসলেও, প্রবেশের অনুমতি পাননি অনেক লিভারপুল দর্শক। গেইট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। লাঠি চার্জের সাথে এমনকি টিয়ারশেল পর্যন্ত নিক্ষেপ করে। অনেকেই টিকিট থাকা সত্ত্বেও মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি। নিজের ক্লাবকে সমর্থন দিতে ইংল্যান্ড থেকে ফ্রান্সে উড়াল দিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা মেনে নিতে পারেনি অলরেড সমর্থকরা। মেনে নিতে পারেনি লিভারপুলের ফুটবলার এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষও। তারা এর সুষ্ঠ তদন্ত চেয়ে এক বিবৃতি দিয়েছিল।
যদিও এমন অব্যবস্থাপনার জন্য লিভারপুলের সমর্থকদের দায়ী করেছিলেন তৎকালীন ফ্রান্সের ক্রীড়ামন্ত্রী অ্যামিলি ওউডিয়া-কাস্তেরা। তার মতে, লিভারপুলের দর্শকরা জাল টিকিট নিয়ে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। আর তাদেরকে সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে লিভারপুল ক্লাব।
তবে অ্যামিলির বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে অলরেডরা। লিভারপুল এবং সমর্থকদের দায়ী করায় ক্লাবের চেয়ারম্যান টম ওয়ার্নার এক চিঠির মাধ্যমে ফরাসি ক্রীড়ামন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। একইসাথে এমন বক্তব্য, দায়িত্বহীন, অপেশাদার ও অসম্মানজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষও এর সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার চেয়েছে।
এসবের মাঝেই দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিল ইউরোপের ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। সেই তদন্ত শেষে এবার মাঠে প্রবেশ করতে না পারা লিভারপুলের সেই সমর্থকদের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে। উয়েফা আনুষ্ঠানিকভাবে এক বিবৃতির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে বিষয়টি। সব মিলিয়ে ১৯,৬১৮ জন সমর্থকের টিকিটের কেনার সম পরিমাণ অর্থ ফেরত দিতে যাচ্ছে উয়েফা।
উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টুর্নামেন্টের সেই ফাইনালে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে রিয়াল মাদ্রিদ। রেকর্ড ১৪তম বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলে দলটি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post