ফাইনালে উঠতে ‘নিয়মবহির্ভূত’ কাজ করে সমালোচনায় ধোনী

0
61

স্পোর্টস ডেস্ক:: আইপিএলের ফাইনালে উঠার জন্য ম্যাচটি ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ার ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনীর নিয়ম বহির্ভূত’ কাজের সমালোচনা হচ্ছে বেশ। সমালোচনা করেছেন আইসিসির সাবক আম্পায়াররা।

ম্যাচে চেন্নাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ বোলার মাথিশা পথিরানা প্রথম ওভার বল করেই চলে যান মাঠের বাইরে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী যতক্ষণ মাঠের বাইরে ছিলেন, মাঠে প্রবেশের পর ততো সময় ফিল্ডিং করে তবেই বোলিং আসতে পারবেন। ধোনী ইনিংসের ১৬তম ওভারে মাথিশাকে বোলিংয়ে আনতে চান। গুজরাটের তখন জয়ের জন্য ৫ ওভারে ৭১ রানের প্রয়োজন ছিলো।

কিন্ত অনফিল্ড আম্পায়ারা আপত্তি তুলে দেন। জানিয়ে দেন, এখনো চার মিনিট সময় বাকী আছে মাথিশার বোলিং করতে। অন্য কাউকে বল বোলিং দিতে বলেন। কৌশলী ধোনী তখনি ‘নিয়মবহির্ভূত’কাজটি করেন। তিনি অন্য কাউকে বোলিংয়ে না ডেকে অনফিল্ড আম্পায়ারের সঙ্গে গল্প করতে থাকেন, বোলিং নিয়ে তর্কেও জড়ান। এসময় যোগ দেন চেন্নাইয়ের অন্য ফিল্ডারররাও।

আম্পায়ারদের সাথে গল্পের ছলে বাক-বিতণ্ডা করে ধোনী নির্ধারিত ৪ মিনিট সময় কাটিয়ে দেন। এরপরই মাথিশা শুরু করেন বোলিং। সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আম্পায়ারদের কিছু করার জন্য। এমন সময়ে ‘নিয়মবহির্ভূত’ ভাবে আম্পায়ারদের সাথে তর্কে জড়িয়ে সময় কাটানোর কারণে ধোনীর সমালোচনা হচ্ছে বেশ। ম্যাচটিতে গুজরাটকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে চেন্নাই। এদিকে গুজরাটও মুম্বাইকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে।

এঘটনায় আইসিসির সাবেক আম্পায়ার হারপার সমালোচনা করেছেন ধোনীল। ভারতের গণমাধ্যম মিডডে-কে হারপার বলেন, ‘নিজের পছন্দের বোলারকে গুরুত্বপূর্ণ ১৬তম ওভারে বল করানোর জন্য ধোনি ইচ্ছে করে সময় নষ্ট করল। হতাশাজনক সেই ঘটনার পেছনে এই একটা কারণই আমি দেখতে পাচ্ছি। আমার কাছে এটা ক্রিকেটের স্পিরিটের প্রতি এবং আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব বলে মনে হয়েছে।’

ধোনীর হাতে অন্য অপশন ছিলো জানিয়ে হারপার বলেন, ‘ক্যাপ্টেনের হাতে অন্য বোলিং অপশনও ছিল। তবে ধোনি সেদিকে নজর দেয়নি। কিছু মানুষ হয়তো নিয়মের ঊর্ধ্বে এবং এ ক্ষেত্রে ক্রিকেটের স্পিরিটের ঊর্ধ্বে। কিছু মানুষ জয়ের জন্য কতদূর যেতে পারে, সেটা এভাবে দেখা সত্যিই হতাশাজনক।’

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here