নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেট পর্ব শেষেই পাকিস্তানে ফিরে যান সিলেট স্ট্রাইকার্সের দুই বিদেশী মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম। তাদের ছাড়া খেলতে নেমে ম্যাচও হারে স্ট্রাইকার্সরা। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করতে সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি এক ম্যাচের জন্য আসার অনুরোধ করে এই দুই ক্রিকেটারকে। স্ট্রাইকার্সদের ডাকে উড়ে আসেন এই দুই তারকা।
আগের দিন এসেছেন, শুধু খুলনার বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতেই। বল হাতেও দুর্দান্ত করেছেন তারা। ইমাদিত ইয়াসিমতো ম্যাচ সেরাও হয়েছেন। বোলারদের নৈপুণ্যৈই স্ট্রাইকার্সরা খুলনাকে ১১৩ রানে আটকে রাখে। ব্যাটাররা সুযোগ কাজে লাগিয়ে ম্যাচ জিতে নেন সহজেই।
এই জয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের নবম আসরে জয় দিয়েই লিগ পর্ব শেষ করলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। খুলনা টাইগার্সকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে স্ট্রাইকার্সরা। খুলনা টাইগার্স আগে ব্যাট করতে নেমে সিলেটের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মাত্র ১১৩ রান তুলে। জবাবে খেলতে নামা সিলেট স্ট্রাইকার্স ১৫ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ৯ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়েই লিগ পর্ব শেষ করলো মাশরাফীর দল।
১১৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা সিলেটের শুরুটা ভাল হয়নি। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারায় দলটি। দলীয় ৬ রানে ব্যক্তিগত ৫ রানে তৌহিদ হৃদয় ফিরেন সাজঘরে। এই ওপেনারের বিদায়ের পর আরেক ওপেনার শান্তও ফিরেন দ্রুত। দলীয় ১০ রানের মাথায় তার বিদায়ে দ্বিতীয় উইকেট হারায় স্ট্রাইকার্সরা। ৫ বলে ৩ রান করেন এই ওপেনার।
দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর তিনে নামা জাকির হাসান দারুণ ব্যাটিং করেন। দলের জয় অনেকটা নিশ্চিত করেই ব্যক্তিগত অর্ধশতকে তিনি ফিরেন সাজঘরে। পাঁচ চার ও এক ছয়ে ৪৬ বলে ৫০ রান করেন তিনি। ৩৯ রান করে তার সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন মুশফিক। রানআউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে চার চারে নিজের ইনিংসটি সাজান এই সিনিয়র ক্রিকেটার। তাদের দু’জনের বিদায়ের পর রায়ান বার্ল ১২ রানে ও গুলবাদিন নাইব ২ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
খুলনার হয়ে নাহিদুল, সাইফুদ্দিন ও হাসান মুরাদ ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
টসে জিতে আগে ব্যাটিং করা খুলনার প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট তুলে নেয় সিলেট। তাও মাত্র ২১ রানের মধ্যে। দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলা খুলনা পুরো ম্যাচেই আর কামব্যাক করতে পারেনি।
খুলনার পক্ষে মাহমুদুল হাসান জয় ৪১ এবং নাহিদুল ইসলাম ২২ রান করার সুবাদে দলটি একশ পেরিয়ে মোটামুটি সম্মানজনক একটা স্কোর গড়ে। এই দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া খুলনার পক্ষে আর ডাবল ডিজিটে পৌঁছান ইয়াসির আলী চৌধুরি, করতে পারেন মাত্র ১২ রান।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের পক্ষে তানজিম সাকিব ২২ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট পান। এছাড়াও ইমাদ ওয়াসিম মাত্র ১০ রানে ২ উইকেট নেন। এছাড়াও রুবেল ২ উইকেট নেন ২৪ রানের বিনিময়ে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০
Discussion about this post