নিজস্ব প্রতিবেদকঃ একটা সময় দেশের ক্রিকেটের অন্যতম ভেন্যু ছিল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। অন্যান্য খেলার পাশাপাশি ক্রিকেটও নিয়মিত হতো। ঘরোয়া, আন্তর্জাতিক ও বয়সভিত্তিক সব ধরনের খেলা পরিচালনা হতো। তবে সেসব এখন কেবল স্মৃতি। ক্রিকেট ছাড়া বাকি সব খেলাই এখানে হয়। ২০০৫ সালে সবশেষ এই মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল, এরপর থেকে আর মাঠে গড়ায়নি খেলা।
বর্তমান জাতীয় দলের সিনিয়র ছাড়া আর কারোরই এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। নতুন-পুরোনো প্রজন্মের ক্রিকেটাররা একসাথে হাজির বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। নতুন ট্রেনার ন্যাথান কিলির অধীন শনিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে দৌড়েছেন ক্রিকেটাররা। মূলত ফিটনেস পরীক্ষার জন্যই এই দৌড়। জাতীয় দলের ৩৫ জন ক্রিকেটার অংশ নিয়েছেন ১৬০০ মিটার দৌড় ও ৪০ মিটার স্প্রিন্টে। শান্ত-লিটন জিপিএস ট্র্যাকার পড়ে দৌড়েছেন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকে।
ক্রিকেটারদের সাথে ছিলেন বিসিবির ট্রেনার, ম্যানেজম্যান্ট ও কর্তারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফীসও। যার কিনা এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আবারও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়েছেন তিনি। তবে ঘরোয়া ও বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেললেও, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে না পারায় আফসোস রয়েছে নাফীসের।
গণমাধ্যমকে শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফিরে ভালো লাগছে। আমাদের খেলার প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়া, খেলা দেখে শেখা সব এই স্টেডিয়ামকে কেন্দ্র করেই। খুব সম্ভবত ১৯৯৩ বা ১৯৯৪ সালে প্রথম এই মাঠে এসেছিলাম খেলা দেখতে। ফারুক ভাই জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। পাশাপাশি অনেক আইকন খেলোয়াড়রা ছিলেন, তাদের দেখে আমার খেলা শুরু।’
‘আমার বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা এখানে শুরু। আমার ক্যারিয়ারের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে। আমি জাতীয় দলের কোনো খেলা পাইনি এখানে এটা আমার বড় আফসোস। শুধু আমার না বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন মানেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। এখানে এলে ভালো না লাগার কোনো সুযোগ নাই।’ যোগ করেন শাহরিয়ার নাফীস।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post