স্পোর্টস ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের এশিয়া কাপের লড়াই। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডিতে খেলবে সাকিব আল হাসানের দল। এশিয়া কাপ ক্রিকেটে সবচেয়ে সফলতম দলগুলোর একটির বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নির্ভার টাইগাররা। ভারত ও শ্রীলঙ্কা ট্রফি জয়ের বিবেচনায় সেরা এশিয়ার ক্রিকেটে। অন্যদিকে, তিনবার প্রতিযোগিতার ফাইনালে খেললেও এখনো শিরোপা খরা ঘোচাতে পারেনি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আসলে আমি একটা বিভাগের ওপর নির্ভর করে জিততে চাই না। আমার কাছে মনে হয় আমরা যদি প্রতিটি বিভাগেই ভালো খেলি সেটা পেস বোলিং আক্রমণ হতে পারে, স্পিনার, ব্যাটার, ফিল্ডার হতে পারে। এই চারটা জায়গাতে যদি আমরা ভালো খেলি তাহলে আমাদের ভালোভাবে জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’
সাকিব আরও বলেন, ‘আমরা ওটাই করার চেষ্টা করব, অলরাউন্ড ক্রিকেট খেলতে চাই। এমনটা না যে শুধু পেস বোলাররা আমাদের জিতিয়ে দেবে কিংবা শুধু ব্যাটাররা জিতিয়ে দেবে এটা না। আমরা চাই সবদিক থেকে ওদের চেয়ে ভালো খেলে জিতব।’
এদিকে গত বছর এশিয়া কাপ জেতা শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক দাসুন শানাকা মনে করিয়ে দিলেন, কিছু সুবিধা তো তারা পাবেনই। তিনি বলেছেন, ‘আমরা আমাদের ঘরের মাঠে খেলছি। তার মানে কিছু সুবিধা আমরা বেশি পাবো। হ্যাঁ, ইনজুরির কারণে কিছু খেলোয়াড় এশিয়া কাপে অংশ নিতে পারছে না। কিন্তু আমি নিশ্চিত যারা দলে আছে তাদের নিয়ে আমরা ভালো দল, আমরা প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবো।’
দেখে নিন এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার খুঁটিনাটি-
বাংলাদেশ-
এশিয়া কাপের প্রথম আসরে বাছাই পর্ব পার হতে পারেনি বাংলাদেশ। এরপর ১৪টি আসরের সবকটি খেলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৬ আসরে প্রথম রাউন্ডেই থামে বাংলাদেশের যাত্রা। ২০০৪ আসরে প্রথমবারের মতো সুপার ফোরে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। ২০০৮ সালেও সুপার ফোর নিশ্চিত করে তারা। ২০১০ সালে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়।
ঘরের মাঠে ২০১২ আসরে রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ বলে হারতে হয় স্বাগতিকদের। এরপর ২০১৬ এবং ২০১৮ সালেও রানার্সআপ হয় টাইগাররা। দুই আসরের ফাইনালে তাদের
প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সবশেষ ২০২২ আসরে প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ১৪ আসরে ৪৬ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের জয় ১০টি। হার ৩৬টি।
শ্রীলঙ্কা-
এশিয়া কাপে ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে একমাত্র তারাই এশিয়া কাপের সবকটি আসর খেলেছে। ১৯৮৪ সালে প্রথম আসরে রানার্সআপ হয় শ্রীলঙ্কা। ১৯৮৬ সালে ঘরের মাঠে প্রথম শিরোপা জয় করে দ্বীপ দেশটি। এরপর ১৯৮৮, ১৯৯০-৯১ এবং ১৯৯৫ সাল- টানা তিন আসরে রানার্সআপ হয় লঙ্কানরা।
১৯৯৭ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জেতে শ্রীলঙ্কা। ২০০০ সালে হয় রানার্সআপ। এরপর ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে টানা দুবার শিরোপা জেতে তারা। ২০১০ সালে ষষ্ঠবারের মতো রানার্সআপ হয় দলটি।
২০১২ সালের বাংলাদেশ আসরে প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে শ্রীলঙ্কা। যদিও পরের আসরে তারা আরেকবার শিরোপা জেতে লাসিথ মালিঙ্গা-কুমার সাঙ্গাকারাদের হাত ধরে। ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়ে শ্রীলঙ্কা। সবশেষ ২০২২ আসরে ষষ্ঠ এশিয়া কাপ জেতে দলটি। ১৫ এশিয়া কাপে অংশ নিয়ে ৬০ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয় ৪৪টি। হার ২২ ম্যাচে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post