নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশের সিনিয়র ক্রিকেটারদের দল বিপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে। টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বরিশালকে বিপিএল থেকে বিদায় করে দিয়েছে রংপুর রাইডার্স। বিপিএলের নবম আসরের এলিমিনেটর ম্যাচে রংপুরের কাছে সাকিবের বরিশাল হেরেছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে।
সাকিবের দলে ছিলেন সিনিয়র আরেক ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এক সঙ্গে দুই সিনিয়রের বিদায় হলো এবারের বিপিএল থেকে। আগেই বিপিএল মিশন শেষ হয়েছে তামিম ইকবালের। ওয়ানডে অধিনায়কের দল খুলনা টাইগার্স আসরের তলানির দল। ১২ ম্যাচের মাত্র তিনটিতে জিততে পেরেছে খুলনা।
বিপিএলের হট ফেবারিট সিলেট স্ট্রাইকার্স। সিলেটের দলে আরেক সিনিয়র মুশফিকুর রহিম খেলছেন। দলটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ইমরুল কায়েসের খুলনার বিপক্ষে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাঠে নামবে তার দল।
তামিম, সাকিব, রিয়াদের বিদায় হলেও মুশফিক-মাশরাফীরা এখনো টিকে আছেন। তাদের সামনে সুযোগ আছে বিপিএলের ফাইনালে যাওয়ার। কুমিল্লাকে হারাতে পারলে সরাসরি ফাইনালে যাবে তাদের দল। হারলেও সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে হারাতে হবে সোহানের রংপুরকে।
রংপুর রাইডার্স শামীম পাটোয়ারের ব্যাটেই ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকলো। মিরাজের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং পূঁজি গড়েও জিততে পারলো না বরিশাল। শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ব্যাটে বিপিএলের ফাইনাল দৌড়ে টিকে থাকলো রংপুর রাইডার্স। উত্তেজনার ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেটে হারিয়েছে এলিমিনেটর ম্যাচে।
আগে ব্যাট করা বরিশাল ১৭০ রান তুলেছিলো। ফাইনালে টিকে থাকার লড়াইয়ে জবাবে ব্যাট করতে নামা রংপুর শামীম পাটোয়ারীর দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরিতে ছয় উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়।
১৭১ রানের টার্গেটে খেলতে নামা রাইডার্সের শুরুটা হয় ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমকে হারিয়ে। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই দলের রানের খাতা খুলার আগে নাঈম ফিরেন প্যাভেলিয়নে। তার বিদায়ের পর উইকেটে নামাম শামীমই রংপুরের জয়ের নায়ক। দ্বিতীয় উইকেটে রনি তালুকদারকে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েন তিনি।
দলীয় ৬১ রানে ইনিংসের অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে রনি তালুকদার ফিরেন সাজঘরে। দুটি করে চার ও ছক্কায় ১৭ বলে ২৯ রান করেন তিনি। তবে শামীম পাটোয়ারী ব্যাট হাতে অবিচল থাকেন। ১৪০’র কাছাকাছি স্ট্রাইক রেটে মাত্র ৫১ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। চারটি করে চার ও ছক্কায় সাজান ম্যাচ সেরা ইনিংসটি। ইনিংসের ১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১৪০ রানে তার বিদায়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয় রংপুরের।
২০০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা মেহদী হাসান চার হাঁকিয়ে খেলা শেষ করেন। ৯ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার সঙ্গী হন ১২ বলে ১৫ রান করা দাসুন শানাকা।
বরিশালের হয়ে সাকিব, খালেদ ও কামরুল ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
আগে ব্যাট করা বরিশাল ১৭০ রান তুলেছ। টস হেরে ব্যাট করতে নামা বরিশালের শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি। দলীয় অর্ধশতকের আগেই ফিরেন ওপেনার ফ্লেচার। ইনিংসের ষষ্ট ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৪৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১২ রানে সাজঘরে ফিরেন এই ক্যারিবিয়ান। তবে এক প্রান্তে মিরাজ দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন। দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১১৫ রানে রিয়াদের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। চার চার ও এক ছয়ে ২১ বলে ৩৪ রান করেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
৩৫ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া মিরাজ তৃতীয় উইকেটে সাজঘরে ফেরার আগে ৬৯ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে। ৪৮ বলের ইনিংসে নয়টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। তার ব্যাটেই দারুণ শুরু পায় বরিশাল। তার বিদায়ের পর আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি দুই বিদেশী ভানুকা রাজাপাকসে ও করিম জান্নাত। তিন চার ও এক ছয়ে ২৫ বলে ৩৩ রানে করিম জান্নাত ও এক ছয় এবং এক চারে ১০ বলে ১৭ রানে রাজাপাকসে অপরাজিত থাকেন।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে দাসুন শানাকা ২টি ও রাকিবুল হাসান ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০
Discussion about this post