নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সেই সকালে রওনা দিয়েছিলেন নেপালের কাঠমাণ্ডু থেকে। কয়েক ঘন্টার বিমানযাত্রা শেষে সাফজয়ী নারী দল দেশে এসে পৌঁছান দুপুর ২টার দিকে। যদিও বিমানের সময়টুকু নাচ-গান আর মিষ্টিমুখে দারুণভাবে শেষ করেন।
শাহজালাল বিমানবন্দরে পা রাখার সাথে সাথেই আরেকদফা অভ্যর্থনা। সেটাও আবার রাজসিকভাবে। ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হওয়ার সাথে সাথে কেক কেটে, মিষ্টি মুখ করিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলার বীর কন্যাদের। যেখানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বাফুফের কর্তা, বিকেএসপির খেলোয়াড়রা।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ছাদখোলা বাসের মাধ্যমে শুরু হয় প্যারেড। বিজয়ের উল্লাস আর উচ্ছ্বাসে হাজার হাজার মানুষ যুক্ত হন সাবিনা-কৃষ্ণাদের সাথে। প্লে-কার্ড, ব্যানার, জাতীয় পতাকা হাতে সাধারণ মানুষের জোয়ারে ভাসে রাজধানী। ইতিহাস গড়া ট্রফি নিয়ে ভক্তদের সাথে উদযাপনে মাতোয়ারা হন ফুটবলাররাও।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল, বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, দীর্ঘ পথ পেরিয়ে ৪ ঘন্টার সড়কপথে উদযাপন শেষ করে অবশেষে দেশের ‘হোম অব ফুটবল’ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী দল। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বাফুফেতে পৌঁছায় দল।
উচ্ছ্বাস-আনন্দ, গান-ব্যান্ড পার্টির আয়োজন সয়লাব হয়ে পড়েছে ফূটবল ফেডারেশন। বাংলার কন্যাদের বরণ করে নিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালউদ্দিন। তবে অবাক করার বিষয় এতসবকিছুতেও হাঁপিয়ে যাননি ফুটবলাররা। দুই একজন ছাড়া সবাই পুরোদমে সামিল হচ্ছেন উদযাপনে। ক্লান্তি ভর করছে না তাদের মাঝে। শিরোপা উঁচিয়ে ধরছেন সবার মাঝে। এই ট্রফি তো গোটা দেশকে উৎসর্গ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা